১৬/১১/২০২৫, ১২:১৬ অপরাহ্ণ
28 C
Dhaka
১৬/১১/২০২৫, ১২:১৬ অপরাহ্ণ
বিজ্ঞাপন

বেদনাভরা মন নিয়ে ক্লাসে ফিরেছেন মাইলস্টোন শিক্ষার্থীরা

একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে আগুনের হলকায় ছিন্নভিন্ন হয়েছিল ভবন, স্বপ্ন, আর জীবনের গতিপথ। সেই ভয়াল ঘটনার ১২ দিন পর আজ সীমিত পরিসরে খুলেছে উত্তরার মাইলস্টোন কলেজ। তবে আজকের দিনে হচ্ছে না কোনো পাঠদান কার্যক্রম। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা নিঃশব্দ শোকযাত্রার মতো শ্রেণিকক্ষে ফিরেছেন। বেদনাভরা মন নিয়ে বসে আছেন ক্লাশরুমে।

রোববার (৩ আগস্ট) কলেজ ঘুরে দেখা গেছে, সকাল ১০টায় থেকে কলেজের মূল ফটক দিয়ে শিক্ষার্থীরা ভেতরে ঢুকছে। তবে নেই কোনো কোলাহল কিংবা হৈ-হুল্লোড়। সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ শুরু হয় মিলাদ মাহফিল, শোক ও স্মরণসভা। এতে অংশ নিয়েছেন কলেজের অধ্যক্ষ, শিক্ষক, অভিভাবক ও ছাত্রছাত্রীরা। এছাড়া শ্রেণিকক্ষগুলোতেও কিছু কিছু শিক্ষার্থীদের বসে থাকতে দেখা গেছে।

সামিরা ইসলাম নামের দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী বলে, প্রতিদিন যেই ভবনের সামনে দিয়ে হেঁটে ক্লাসে যেতাম, আজ সেখানে শুধুই পোড়া গন্ধ আর শূন্যতা। আজকে কোনো ক্লাস হয়নি। আমরা শুধু পারস্পরিক কুশলাদি বিনিময়ের জন্য এসেছি।

কলেজের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহ বুলবুল জানান, শিক্ষার্থীরা যেন ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে, এ জন্যই সীমিত পরিসরে ক্যাম্পাস খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা কলেজে এসে শিক্ষকদের সঙ্গে কুশলাদি বিনিময়ের সুযোগ পাবে, বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাবে। মানসিক প্রশান্তি ফিরে পেতে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।

তিনি আরও জানান, কলেজে আজও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। পাশাপাশি কলেজ ক্যাম্পাসে বিমান বাহিনীর সহায়তায় একটি চিকিৎসা ক্যাম্প চালু আছে, যেখানে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কলেজের শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে কাউন্সেলিং চালিয়ে যাচ্ছেন। কেউ চাইলে ব্যক্তিগতভাবে একান্ত আলাপের সুযোগও পাচ্ছেন। শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং শিক্ষক সমাজের পারস্পরিক সহানুভূতি ও মানবিকতা এই সংকটময় সময়ে কলেজের বড় শক্তি হয়ে উঠেছে বলেও জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

পড়ুন : ১২ দিন পর আজ খুলছে মাইলস্টোন কলেজ

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

বিশেষ প্রতিবেদন