সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের অর্থ পাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ নিয়ে, দুর্নীতি দমন কমিশনের অনুসন্ধান শেষ পর্যায়ে। জানিয়েছেন, দুদক আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।
আজ রবিবার (৭ জুলাই) দুপুরে হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে তিনি বলেন, অনুসন্ধান শেষে প্রতিবেদন দেয়া হবে। এরপর কমিশন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। তিনি জানান, বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যদের কাছে সম্পদের বিবরণী চাওয়ার নোটিশ জারির সিদ্ধান্ত হয়েছে। সময় দেয়া হবে ২১ দিন। একের পর এক দুর্নীতির খবর প্রকাশ পাওয়ায়, এনবিআরকে ঢেলে সাজানোর পরামর্শও দেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ৩১ মার্চ জাতীয় একটি দৈনিকে ‘বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়, যেখানে তার নানা অর্থ-সম্পদের বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে। বেনজীরের বিপুল সম্পদের মধ্যে রয়েছে গোপালগঞ্জের সাহাপুর ইউনিয়নে সাভানা ইকো রিসোর্ট নামের এক অভিজাত ও দৃষ্টিনন্দন পর্যটনকেন্দ্র। এছাড়াও তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ছয়টি কোম্পানির খোঁজ পাওয়া গেছে। এরমধ্যে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকার বেশি হতে পারে।
প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়, ঢাকার অভিজাত এলাকাগুলোতে বেনজীর আহমেদের দামি ফ্ল্যাট, বাড়ি আর ঢাকার কাছের এলাকায় বিঘার পর বিঘা জমি রয়েছে। দুই মেয়ের নামে বেস্ট হোল্ডিংস ও পাঁচতারা হোটেল লা মেরিডিয়ানে রয়েছে দুই লাখ শেয়ার। এছাড়া পূর্বাচলে রয়েছে ৪০ কাঠার সুবিশাল জায়গাজুড়ে ডুপ্লেক্স বাড়ি, যার আনুমানিক মূল্য কমপক্ষে ৪৫ কোটি টাকা। একই এলাকায় আছে ২২ কোটি টাকা মূল্যের আরও ১০ বিঘা জমি।
অথচ, ৩৪ বছর সাত মাসের দীর্ঘ চাকরিজীবনে বেনজীর আহমেদ বেতন-ভাতা বাবদ মোট আয় এক কোটি ৮৪ লাখ ৮৯ হাজার ২০০ টাকার মতো হওয়ার কথা।