জাাতিসংঘের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলি হামলা সত্ত্বেও তাদের শান্তিরক্ষাকারী মিশন সরানো হচ্ছে না। লেবাননে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষাকারী মিশনের নাম ইউএনআইএফআইএল। তারা বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার নাকাউরাতে তাদের সদরদপ্তরে ইসরায়েলি কামান থেকে আক্রমণ করা হয়।
এপি, এএফপি, রয়টার্স, আল জাজিরা ও ডয়েচে ভ্যালে সূত্রে এই খবর জানা গেছে।
জাতিসংঘের এই সংস্থার মুখপাত্র জানিয়েছেন, ”গত ১ বছরে এই ধরনের ভয়ংকর ঘটনা কখনও ঘটেনি। আমরা লেবাননে মিশনে আছি, কারণ, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত ওখানে থেকেই কাজ করতে বলেছে।”
এই আক্রমণের ফলে ইন্দোনেশিয়া থেকে আসা দুই শান্তিরক্ষী আহত হন। এতে জাতিসংঘের বেশ কিছু যানবাহন ধ্বংস হয়েছে।ফলে তাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বিবৃতিতে আরো জানানো হয়, ইসরায়েলের সেনারা ইচ্ছাকৃত তাদের উপর আক্রমণ করেছে। আক্রমণের আগে তারা এলাকার সব ক্যামেরা বন্ধ করে দেয়।
জাতিসংঘের এই মিশনে ৫০টি দেশের ১০ হাজার শান্তিরক্ষী আছেন। তাদের লেবানন ও ইসরায়েলের সীমান্তে মোতায়েন করা হয়। এই মিশনের মূল কাজ হলো লেবাননের সেনাবাহিনীর সাহায্যে দেশের দক্ষিণ অংশে অস্ত্র উদ্ধার ও সশস্ত্র মানুষকে নিরস্ত্র করা। লেবাননের ঐ দক্ষিণ অংশই হিজবুল্লার নিয়ন্ত্রণে।
হাজার হাজার মানুষ ওই এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন। তবে বেশ কিছু বেসামরিক সাধারণ মানুষ লড়াইয়ের মাঝখানে আটকে পড়েছেন। জাতিসংঘ ও কিছু এনজিও তাদের কাছে খাবার ও খাবার পানি পৌঁছে দিচ্ছে।
এদিকে মধ্য বৈরুতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ২২ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও শতাধিক।
শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয় বলে জানা গেছে। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
বার্তাসংস্থা এপি জানিয়েছে, লেবাননের রাজধানীতে এপর্যন্ত সবচেয়ে বড় প্রাণঘাতী আক্রমণ চালিয়েছে ইসরায়েল। তারা দুইটি আলাদা আবাসিক এলাকায় দুইটি অ্যাপার্টমেন্টকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়। একটি বাড়ি ভেঙে পড়েছে। অন্যটির নিচের তলাগুলি ধ্বংস হয়ে গেছে।
হিজবুল্লার আল মানার টিভির দাবি, ইসরায়েল ওয়াফিক সাফাকে টার্গেট করে আক্রমণ চালিয়েছিল। সাফা হিজবুল্লার সমন্বয়কারী ইউনিটের দেখভাল করেন। তারা জানিয়েছে, সাফা কোনো বাড়িতেই ছিলেন না।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইসরায়েলের সেনাবাহিনী হিজবুল্লার শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত দক্ষিণ বৈরুতে একের পর এক বিমান হামলা করছে। একটি ঘটনায় দক্ষিণ বৈরুত থেকে নিয়ে আসা তিন শিশুসহ আটজনের পরিবার হাসপাতালে মারা গেছেন।