17 C
Dhaka
শনিবার, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৫

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আটককৃত জয়ের সাথে সেদিন কি ঘটেছিলো!

নীলফামারীর সৈয়দপুরে পুলিশ নির্যাতনে আহত জয়, স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চান। আট দিন পুলিশের টর্চারে তাঁর বেঁচে থাকার স্বাদ কেড়ে নিয়েছে। ছেলের দূরাবস্থার বিচারের দাবি বাবা-মার। এক ফোটা পানির বদলে প্রস্রাব দিয়েছিলেন ওসি শাহ আলম।

পুলিশি নির্যাতনে শারীরিক ও মানসিক ক্ষত নিয়ে বিছানায় কাতরাচ্ছেন কলেজ শিক্ষার্থী আবির হোসেন জয়।   

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় উত্তাল ছিলো রেলেওয়ের শহর সৈয়দপুর। এসময় পুলিশ-ছাত্র সংঘর্ষে খোয়া যায় পুলিশের একটি পিস্তল। এতে পুলিশ রোসানলে পরেন সৈয়দপুর সানফ্লাওয়ার স্কুল এ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেনীর শিক্ষার্থী আবির হোসেন জয়।

কিছু বুঝে ওঠার আগেই কয়া নিচপাড়ার বাড়ি থেকে আটক করা হয় জয়কে। লন্ডভন্ড করা হয় ঘরের আসবাবপত্র। বিনা অভিযোগে তিনদিন থানায় আটক করে জয়ের ওপর চালানো হয় অমানষিক নির্যাতন। নেয়া হয় রিমান্ডেও।

দোষ শিকারে এনকাউন্টারসহ স্বজনদের ধরে এনে পতিতা বানানোর হুমকি দেয়া হয়। তৃষ্ণনায় বুকফাটা জয়কে পানির বদলে দেয়া হয় প্রসাব। এমন বর্বরতার বর্ণনা দেন জয়।

প্রশাসন অস্ত্রের ঝনঝনানিতে সেই দিন আতঙ্কিত হন এলাকাবাসী ও স্বজনরা। একটি সম্ভ্রান্ত পরিবারের ওপর পুলিশের নির্মমর্তা মেনে নিতে পারছেন না তারা।

পুলিশের স্বৈরাচারী আচরণে সেদিন পাক হানাদার বানিহীকেও হার মানিয়েছে। মা-বাবার বুক খালি করা পুলিশদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়াসহ সন্তান নির্যাতনের বিচারের দাবি পরিবারের।

অভিযোগ অস্বীকার করে নিজেকে আড়াল করার চেষ্টা অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তার। আর যুবক জয়কে বিনা অভিযোগে নির্যাতনের বিষয়টি মানবাধিকার লংঘনসহ শিশু আইনকে বৃদ্ধাঙুলি দেখিয়েছে পুলিশ, দাবি আইন বিশেষজ্ঞদের।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর সবকিছুই নতুন করে পরিবর্তন হচ্ছে।  তবে জয়ের মানসিক ও শারীরিক ভাবে স্বাভাবিক হওয়ার সবপ্ন দেখেন বাবা-মা।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন