আজ বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়কদের উদ্যোগে একটি নতুন ছাত্রসংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটতে যাচ্ছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে বিকেল ৩টায় এই সংগঠনটি আত্মপ্রকাশ করবে বলে নিশ্চিত করেছেন নতুন ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে যুক্ত শিক্ষার্থী আল মাশনুন।

সূত্রের মাধ্যমে জানা যায়, এই নতুন সংগঠনটি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির সমন্বয়ে গঠিত কোনো রাজনৈতিক দল বা মূল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে সম্পর্কিত থাকবে না। তারা কোনো লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতিতে জড়িত হবে না এবং কোনো ‘মাদার সংগঠন’ বা রাজনৈতিক দলের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন করবে না।
জানা গেছে, সংগঠনটির আয়ের উৎস হবে অভ্যন্তরীণ নেতাকর্মীদের মাসিক চাঁদা এবং প্রয়োজন মাফিক শুভাকাঙ্ক্ষীদের অনুদান। এছাড়া মূলধারার রাজনৈতিক পরিসরে নারীদের অনুপস্থিতি চিহ্নিত করে নারীর রাজনৈতিক মানদণ্ড বিনির্মাণ, রাজনৈতিক চর্চার পরিবেশ তৈরি এবং রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে নারীবান্ধব করে তোলার মাধ্যমে সমান সুযোগের সৃষ্টি করার লক্ষ্যে সংগঠনটি কাজ করবে।
সূত্রএর মাধ্যমে আরও জানা যায়, আত্মপ্রকাশ করতে যাওয়া সংগঠনটির ঢাবির আহ্বায়ক পদের আলোচনায় রয়েছেন ৯ দফার ঘোষক আব্দুল কাদের।
আব্দুল কাদের বলেন, এই সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটিতে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ২৮ বছর। ২৮ বছরের বেশি কেউ কেন্দ্রীয় কমিটিতে থাকতে পারবেন না। বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটগুলোর সদস্য হওয়ার ক্ষেত্রে অনার্সে ভর্তি হওয়ার পর থেকে সর্বোচ্চ সাত বছর পর্যন্ত অনুমতি থাকবে। অর্থাৎ এটি শুধু শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সংগঠন।
নতুন ছাত্রসংগঠনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হচ্ছেন আবু বাকের মজুমদার। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মুখসারির অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন এবং গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্যসচিব ছিলেন।

আবু বাকের মজুমদার বলেন, আমাদের ছাত্র সংগঠন কোনো লেজুড়বৃত্তিক সংগঠন হবে না। এটি স্বাধীনভাবে কাজ করবে।
তিনি আরও বলেন, নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের পরিকল্পনা চলছে, তবে আমাদের সংগঠনের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই। আমাদের নেতৃত্ব নির্বাচন হবে ‘বটম টু টপ’ প্রক্রিয়ায়, গণতান্ত্রিক উপায়ে। সংগঠনের আর্থিক কার্যক্রম অভ্যন্তরীণ চাঁদার মাধ্যমে পরিচালিত হবে।
এনএ/