ফজলে রাব্বি: বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলাকারী রূপনগর থানা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি গফুর মোল্লাকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রূপনগর থানা পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে তিনটার দিকে রূপনগরের নিজ বাসভবন থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের সময় তার কাছ থেকে ১টি শর্টগান, ৮টি অক্ষত গুলি এবং ১টি ব্যবহৃত কার্তুজ জব্দ করা হয়।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় মিরপুর ১০, পল্লবী প্রশিকার মোড়সহ মিরপুরের বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা সশস্ত্র হামলা ও নির্বিচারে গুলি চালায়। গত ২০ জুলাই মিরপুর-১০ সংলগ্ন প্রশিকার মোড় মেইন রোডের উপর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্রদের উপরে এ হামলায় শামীম হাওলাদার নামে একজন ব্যক্তি গুলিবদ্ধ হয়ে মৃত্যবরণ করে। এ ঘটনায় ভিকটিমের চাচাতো ভাই সম্রাট হাওলাদার রুপনগর থানায় গত ১৫ সেপ্টেম্বর হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি তদন্তকালে ঘটনাস্থলের বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ এবং বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় পাওয়া ফুটেজ পর্যালোচনা করে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে এ ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টি শনাক্ত করা হয়। পরবর্তী সময়ে বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর ২০২৪) তার নিজ বাসভবন থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গফুর মোল্লা তার নামে লাইসেন্সকৃত শটগানের জন্য ২০০১ সালে ৫০টি, ২০০৬ সালে ২৫টি এবং ২০১৩ সালে ২৫টি মোট ১০০টি গুলি ক্রয় করেন। রূপনগর থানা পুলিশ তার কাছে থেকে ১টি শর্টগান, ৮টি অক্ষত গুলি এবং ১টি ব্যবহৃত কার্তুজ উদ্ধার করে। বাকি ৯২টি গুলির বিষয়ে তিনি সন্তোষজনক কোন জবাব দিতে পারেননি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, উক্ত ৯২টি গুলি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ব্যবহার করেছেন।
এছাড়াও পল্লবী থানাধীন মিরপুর অরজিনাল-১০ বাসস্ট্যান্ডের পপুলার ডায়াগণস্টিক সেন্টারের কাছে প্রধান সড়কের উপর গত ৪ আগস্ট ২০২৪ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্রদের উপরে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা সশস্ত্র হামলা ও নির্বিচারে গুলি চালায়। এ হামলায় ইমন হোসেন আকাশ নিহত হয়। এ নিহতের ঘটনায় ভিকটিমের মা পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। গ্রেফতারকৃত গফুর মোল্লা এই হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামী।