34.5 C
Dhaka
রবিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৫

বৈসাবির শুভেচ্ছা বার্তায় পিসিপি: শত্রুতা ভুলে জাতীয় ঐক্য সুদৃঢ় করার আহবান

পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জাতিসত্তাসমূহের ঐতিহ্যবাহী প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসাবির (বৈসুক-সাংগ্রাই-বিঝু-বিষু-বিহু-চাংক্রান) ও নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)।

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি অমল ত্রিপুরা ও সাধারণ সম্পাদক শুভাশীষ চাকমা গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় পার্বত্য চট্টগ্রামের ছাত্র-যুব সমাজের উদ্দেশ্যে এবং দেশবাসীকে এই শুভেচ্ছা জানান।

বৈসাবির শুভেচ্ছা বার্তায় পিসিপি নেতারা বলেন,

বৈসাবি উৎসব শুধু বিনোদনের জন্য নয়, এটি পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের মধ্যে সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি, ভ্রাতৃত্ব ও সংহতি সুদৃঢ় করার উপলক্ষও। বৈসাবি’র চেতনায় ৮০’র দশকে সামরিক শাসনের সময় পাহাড়িরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল, ’৯২-এ লোগাঙ গণহত্যার প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে পাজন (হরেকরকম সবজির মিশ্রণে রান্না তরকারি) চেঙ্গী নদীতে ভাসিয়ে দেয়া হয়েছিল, ’৯৬ নিজস্ব সংস্কৃতি সংরক্ষণ ও বিকাশের নিশ্চয়তার দাবি জানিয়ে পিসিপি, পাহাড়ি গণপরিষদ ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন র‌্যালি করেছিল।

পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি জাতিসত্তাসমূহের ঐতিহ্য সংস্কৃতি সমুন্নত রেখে ঐক্য ও সংহতি সুদৃঢ় করার আহ্বান জানিয়ে নেতৃদ্বয় বলেন, পাহাড়ি জাতিসত্তাগুলোর স্ব স্ব ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। অপরদিকে শাসকগোষ্ঠী নানা কৌশলে পাহাড়িদের কৃষ্টি, সংস্কৃতিকে ভুলভাবে উপস্থাপন কিংবা বিকৃত করে কৃত্রিমতা সৃষ্টি করার মাধ্যমে নিজেদের হীনস্বার্থ চরিতার্থ করছে। তাই স্ব স্ব জাতিসত্তার বৈসাবির ঐতিহ্য সংস্কৃতি সমুন্নত রেখে ঐক্য ও সংহতি সুদৃঢ় করা প্রয়োজন। জাতির ঐতিহ্য-সংস্কৃতি এবং অস্তিত্ব রক্ষার্থে তরুণ প্রজন্মে ছাত্র-যুব-নারীদের এগিয়ে আসতে হবে।

নেতৃবৃন্দ বৈসাবি’তে বিগত দিনের সকল দুঃখ-গ্লানি, অনৈক্য, হিংসা ও শত্রুতা ভুলে জাতীয় ঐক্য সুদৃঢ় করে নতুন বছরে নব উদ্যমে ঐক্যবদ্ধভাবে জাতীয় মুক্তির সংগ্রাম পরিচালনা করবে বলে পাহাড়ের সকল রাজনৈতিক দলসমূহের প্রতি প্রত্যাশা করেন।

পড়ুন: বিজিবি সদস্যদের সাথে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার

দেখুন: দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী |

ইম/

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন