17 C
Dhaka
শনিবার, ডিসেম্বর ১৪, ২০২৪

ব্যবসার চেয়ে বদনাম বেশি প্রাসাদ গ্রুপের চেয়ারম্যানের

যিনি নৈতিকতার শিক্ষক, তিনিই দুর্নীতির ধারক-বাহক। বেসিক ব্যাংক কে যারা ডুবিয়েছেন নাম লিখিয়েছেন সেই তালিকায়। ফেরত দিচ্ছেন না বিতর্কিত চেয়ারম্যান বাচ্চুর সঙ্গে আতাত করে নেয়া অর্ধশত কোটি টাকা। আবার, ব্যাংকের কাছে, স্পেস বিক্রি করলেও, দিচ্ছেন না দলিল করে। এসব অপকর্মের কারিগর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএর পরিচালক অধ্যাপক আবু ইউসুফ আব্দুল্লাহ। তিনি প্রসাদ গ্রুপের চেয়ারম্যান। সাইদ আরমানের অনুসন্ধানি প্রতিবেদন।

প্রাসাদ গ্রুপ, বলা হয় ব্যবসার থেকে বদনাম বেশি। গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা আবু ইউসুফ আব্দুল্লাহ। বেসরকারি খাতের নর্দার্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও একই নামে মেডিক্যাল কলেজের মালিকানা তার। যদিও, মেডিক্যাল কলেজটির শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে সরকার, কারণ পড়াশোনার উপযুক্ত নয়।

শিক্ষা নিয়ে বাণিজ্য আর ব্যবসায়ি শিক্ষক হিসেবে এখন বেশি পরিচিতি। অনেকেই বলছেন, সুনাম নষ্ট করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকতার। কিন্তু ব্যাংক কেলেংকারির কি কাম্য, জড়িত সেখানেও? বেসিক ব্যাংক যারা ডুবিয়েছেন, খলনায়কদের একজন ঢাবির এ শিক্ষক।

বেসিক ব্যাংকের গুলশান শাখার  ঋণ গ্রহীতা। দুটি কোম্পানী খুলে নেন তহবিল, একটি প্রাসাদ নির্মাণ লিমিটেড, আরেকটি সুন্দরবন সাইন্টিফিক লিমিটেড, পাওনা এখনো ৫০ কোটি টাকার বেশি।

ব্যাংকও বলছে, শিক্ষকের চরিত্রের সঙ্গে বড় বেমানান প্রাসাদের উদ্যোক্তার। ঋণ আদায়ে নানা চেষ্টা করেও তারা ব্যর্থ। ফেরত দিবো, দিচ্ছি করে প্রায় ১০ বছর ব্যাংকের টাকা দিচ্ছে না। অথচ, বিলাসি জীবন তার থেমে নেই।

কেবল কি ব্যাংকের দায় দিতেই টালবাহানা প্রাসাদ গ্রুপের, তা নয়, একই ব্যাংকের কাছে স্পেস বিক্রি করেও দলিল করে দেননি। সাড়ে সাত হাজার স্কয়ার ফিট স্পেস ব্যাংক কিনে ২০ কোটি টাকায়। যেখানে বাজারের থেকে বেশি দাম নিয়েছেন।

নয়। ব্যাংক অবশ্য, অগত্যা প্রতারণার মামলা ঠুকে দিয়েছে। নাগরিক অনুসন্ধানকালে চিকিৎসার জন্য ছিলেন দুবাইতে। নিজের ব্যক্তিগত কোম্পানীর ঋণ অনিয়মের ব্যাখ্যা দিতে, নিয়োগ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই কর্মকর্তাকে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ব্যাংকিং খাতে পচনের নেপথ্য, বাচ বিচার ছাড়া এসব রাজনৈতিক ঋণ। তবে, সময় এসেছে এদের বিরুদ্ধে শক্ত ব্যবস্থা নেয়ার। তবে, কোম্পানীটি অবশ্য, ওত পেতে আছে, ব্যাংকিং খাতে অস্থিরতা অব্যাহত থাককু, তাতেই যেন তাদের ফায়দা।

ক্ষমতাচ্যূত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসন আমলের শেষ দিকে, আইবিএর পরিচালক নিযুক্ত হন ইউসুফ আব্দুল্লাহ। খায়েস ছিলো, নৌকার হয়ে সংসদে যাওয়ার, সাতক্ষীরাতে করেছেন, প্রচারণা, দৌড়ঝাপও। তবে, রাজনৈতিক পটপরির্বতনের পর, গোয়েন্দা পুলিশ হাতে আটক করলেও মুক্তিপান মুচলেখা দিয়ে।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন