ব্যাংকিং খাতে চলছে ছাটাই আর বাধ্যতামূলক ছুটি আতঙ্ক। কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংকে আতঙ্ক আরও বেশি। মালিকানা পরিবর্তন আসা ব্যাংকগুলো অনেক কর্মীকে চাকুরিচ্যুত করেছে নানা অভিযোগে। বিশ্লেষকরা বলছে, শুদ্ধি অভিযানের নামে, যাতে নিরাপরাদ ও সৎ কর্মী যাত বিতাড়িত না হন, তা তদারকি করতে হবে নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষকে।
বেসরকারি খাতের ইউনাউটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর মালিকানা বদল হয়। পুনগর্ঠিত পর্ষদের চেয়ারম্যান এখন শরীফ জহির, তার বাবা হুমায়ুন জহির ব্যাংকের উদ্যোক্তাদের একজন।
নতুন পর্ষদ আর ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ, অনেক কর্মীকে বাদ দিয়েছেন, অনেক কর্মী আরার স্বেচ্ছায় চাকুরি ছেড়েও চলে গেছেন। যাদের অনেকের বাড়ি চট্টগ্রামে।
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, এক সঙ্গে প্রায় সাড়ে ৫শ কর্মীকে বাদ দিয়েছে, যারা নিয়োগ পান ২০২৪ সালে। আর প্রায় পৌনে দুইশ কর্মীর তালিকা হয়েছে, যাদের দেয়া হয়েছে চূড়ান্ত ব্যাখ্যা দেয়ার সুযোগ।
বেসরকারি ব্যাংগুলোতে এখন চলছে ছাটাই আতংক। কর্মকর্তা থেকে নির্বাহী সব স্তরে এই আতংক তীব্র আকার নিয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, সৎ-দক্ষ একজন কর্মীও যাতে চাকুরিচ্যুৎ না হয়, সেটি তদারকি করতে হবে।
আতংক সবচেয়ে বেশি ইসলামী ব্যাংক, ইউসিবি, ফার্স্ট সিকিউরিটি, কমার্স, এসআইবি, গ্লোবাল, ইউনিয়ন ব্যাংক। এসআইবিএল থেকে কয়েকশ কর্মীকে ছাটাই করা হয়েছে। কিছু কর্মীকে ছুটিতে পাঠানো হচ্ছে। ফলে ছাটাই-ছুটি যেন ব্যাংকিং খাতের আতংক।
বিগত দিনগুলোতে ব্যাংকিং খাতে যে অনিয়ম সংগঠিত হয়েছে তার দায় অবশ্য বর্তায় ব্যাংকারদের ওপরও। যদিও, পর্ষদ চাপ দিলো, খুব বেশি কিছু করার থাকে না ব্যাংকারদের। ফলে অনেকে এখন বিপদে পড়ছেন, হচ্ছেন বলির পাঠা। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব বলছে, দেশের বেসরকারি ব্যাংক খাতে এখন কর্মীর সংখ্যা প্রায় সোয়া লাখ।