ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর গত তিন দিনের দফায় দফায় সংঘর্ষে নিয়াজুল মিয়া (৪৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৪ মে) বিকেলে সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের নাটাই গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনায় তিনি নিহত হন। নিহত নিয়াজুল মিয়া ওই গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে। এই সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, সদর উপজেলার নাটাই ইউনিয়নের চান্দের গোষ্ঠীর সঙ্গে সলিমের গোষ্ঠীর দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই মধ্যে গত সোমবার (১২ মে) রাতে সলিম গোষ্ঠীর এক যুবক চান্দের গোষ্ঠীর এক বাড়িতে ইয়াবা সেবন করতে যায় বলে অভিযোগ উঠে। এসময় চান্দের গোষ্ঠীর লোকজন ইয়াবা সেবনে বাধা দিলে যুবকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

এ নিয়ে সোমবার রাতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনার জের ধরে পরদিন মঙ্গলবার সকালে দুই গোষ্ঠীর লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এসময় উভয় পক্ষের ছোড়া ইট পাটকেলের আঘাতে অন্তত ১০ জন আহত হয়। এতে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকটি বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষের খবর পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরই জেরে বুধবার বিকেলে উভয় পক্ষ আবারও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে৷ এই সংঘর্ষে টেটার আঘাতে চান্দের গোষ্ঠীর নিয়াজুল মিয়া সহ অন্তত ১৬জন আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতাল সহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসার জন্যে নেওয়া হয়। এরমধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিয়াজুল মিয়া মারা যান।
নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোজাফ্ফর হোসেন জানান, দীর্ঘদিনের গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্বের সঙ্গে স্থানীয় নেতৃত্বের ব্যর্থতা এই সংঘর্ষে ইন্ধন দিয়েছে। দোষীদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে, মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।