ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে আল আমিন (২৫) ও জরিনা বেগম (২০) নামে এক দম্পতি ‘কেরির ট্যাবলেট’ খেয়ে এক সাথে আত্মহত্যার করেছেন। রোববার রাতে উপজেলার লালপুর ইউনিয়নের কুড়ের পাড় এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত আল আমিন ওই এলাকার নান্নু মিয়ার ছেলে এবং জরিনা একই ইউনিয়নের নোয়াপাড়ার ইদ্রিস মিয়ার মেয়ে। নিহত আল আমিন লেশায় ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালক ছিলেন। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
জরিনার ভাই আনোয়ার হোসেন জানান, অভাব-অনটন ও সংসারের টানাপোড়েন তাদের প্রতিনিয়ত পুড়িয়ে দিচ্ছিল। কিস্তিতে কেনা ইজিবাইকটি কয়েক দিন আগে আল আমিন বিক্রি করে দেন। এরপর শুরু হয় দাম্পত্য কলহ। এই দুঃখ, রাগ ও অপ্রাপ্তির হতাশা থেকেই তারা একসাথে আত্মহননের পথ বেছে নেন। রোববার রাতে তারা কেরির টেবলেট খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। রাত ১০টার দিকে দুজনকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরিনা জরুরি বিভাগেই মারা যান। কিছুটা সময় লড়লেও রাত একটার দিকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন আল আমিনও।
এব্যাপারে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন বলেন, “অভাব-অনটন ও মানসিক কষ্ট থেকেই এই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তাদের মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।”
পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
দেখুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাঁশ বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞার কারণ কী?
এস