২১/০৫/২০২৫, ১৭:৫৬ অপরাহ্ণ
25 C
Dhaka
২১/০৫/২০২৫, ১৭:৫৬ অপরাহ্ণ

মুর্শিদাবাদের ভাইরাল ‘চাকার বিছানা’ নিষিদ্ধ করলো পুলিশ

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের ভাইরাল ‘চাকার বিছানা’ নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে নিষিদ্ধ করেছে পুলিশ। দেশটির মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা নবাব শেখ প্রায় দেড় বছরের পরিশ্রমে এই খাট-গাড়িটি বানিয়েছিলেন। এক প্রতিবেদনে দেশটির সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এ তথ্য জানায়।

ঈদের দিন একটু “ট্রায়াল” দিতে বেরিয়েছিলেন নিজের বিচিত্র এই গাড়িটি নিয়ে। মুহূর্তেই সেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। ওই চলমান-বিছানা দেখতে ব্যাপক ভিড়ও হচ্ছিল।তবে নবাব শেখের এখন মন খারাপ। কারণ তার সাধের গাড়িটি মুর্শিদাবাদের ডোমকল থানার পুলিশ নিয়ে গেছে। মোটর ভেহিকলস আইন অনুযায়ী কোনও গাড়িকে এভাবে বদলে ফেলে চালানোর অনুমতি যে ছিল না নবাব শেখের।

মুর্শিদাবাদ ডোমকল থানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মোটর ভেহিকলস আইন অনুযায়ী কোনও গাড়িকে এভাবে বদলে ফেলে চালানোর অনুমতি যে ছিল না অভিযুক্ত নবাব শেখের।

এদিকে, নবাব শেখ জানান, চাকার বিছানা বানানোর উদ্দেশ্য ছিলো একটাই; নিজের বানানো বিছানায় বসে বসেই চায়ের দোকানে চা খেতে যাওয়া।

নবাব শেখ বলছেন, “আমি ঘুমের মধ্যেই একদিন স্বপ্ন দেখি যে খাটে চেপেই যদি আমি চা খেতে যেতে পারতাম! সেই ভাবনা থেকেই শুরু।”

এরপরে তিনি খাটটিতে চারটি চাকা লাগান। সেটি ধাক্কা দিলে এগোচ্ছে, কিন্তু এমনিতে সেটি নড়াচড়া করছে না! তার কথায়, “এরপরে আমি ওটাতে একটা ইঞ্জিন ফিট করে চলন্ত খাট বানাই। ঈদের দিন একটু ট্রায়াল দিতে বেরিয়েছিলাম। আমার কয়েকজন বন্ধু সেটার দুটো ভিডিও করে। সেটা আমি আমার ফেসবুক পেজে দিয়েছিলাম।”

নবাব শেখের এক ভাই আলমগীর শেখও চলমান-খাট বানানোয় তাকে সহায়তা করেছেন। প্রায় দেড় বছর ধরে দুই লাখ ১৫ হাজার টাকা খরচ করে একে একে ইঞ্জিন, স্টিয়ারিং, তেলের ট্যাংক আর স্থানীয় একটা গাড়ি সারানোর কারখানা থেকে একটি গাড়ির খাঁচাও কেনেন নবাব শেখ।

বিছানায় ৮শ’ সিসি ইঞ্জিন লাগানো হয়েছে। এছাড়াও মারুতি ওমনি গাড়ির চেসিস ব্যবহার করা হয়েছে। অবশেষে, বাড়ির পাশেই কাঠমিস্ত্রি, গাড়ির মেকানিকদের সহায়তায় গাড়িটি তৈরি করেছিলেন তিনি।

পড়ুন: ভিডিও ভাইরাল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই নেতার পদ স্থগিত

দেখুন: উত্তরায় দুজনকে কো*পা*নোর ভিডিও ভাইরাল, আটক ২

ইম/

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন