ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থাগুলো বলছে, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক হামলা নিয়ে ভারতের মূলধারার কিছু গণমাধ্যম ও দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের কেউ কেউ অপতথ্য ছড়াচ্ছেন। ভারতের সাংবাদিকেরা বলছেন তারাও যথযথভাবে সংবাদ যাচাই করতে পারছেন না। দুই দেশের সম্পর্ক রক্ষা করতে সর্তক থাকার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাবলি নিয়ে ভুল তথ্য এবং অপতথ্যের ব্যাপক প্রচারের দেখা যাচ্ছে ভারতের মূলধারার গণমাধ্যমে। এগুলো যাচাই বাছাই করেছেন দেশের বিভিন্ন ফ্যাক্ট চেক সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম বিবিসি ও আলজাজিরা।
ভারতের গণমাধ্যমগুলোর কোন সাংবাদিক বাংলাদেশে না থাকা এবং যেকোন তথ্যের সোর্সকে সঠিক ভাবে যাচাই না করার কারণে এই অপতথ্য আরো বেশি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে বলে মনে করা হচ্ছে। অনেক সময় ভিউ বাণিজ্যের কারনেও চটকদার মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ হয়। তবে কলকাতার সাংবাদিকেরা মনে করেন, এতে দুই দেশের সম্পর্কে প্রভাব নেই।
কলকাতার সমাজকর্মী পিন্টু রয় বলেছেন, ধর্মের কারবারিদের জন্য এই ধরনের কাজ হচ্ছে। সত্য প্রকাশ ও যাচাই করার কেউ নেই।
ভারতে প্রচারিত অপতথ্য দুই দেশের সম্পর্কে প্রভাব রাখতে পারে। তাই সর্তক থাকার পরামর্শ এই আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞের।
এই ধরনের গুজব সাম্প্রদায়িক সহিংসতা উসকে দিতে পারে এবং পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলতে পারে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা।