ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের সাতটি জেলায় চালানো এক অভিযানে মোট ২৮০টি অবৈধ ধর্মীয় স্থাপনা ধ্বংস করা হয়েছে। রাজ্য প্রশাসনের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। যেসব জেলায় অভিযান চালানো হয়েছে, সেগুলো হলো—মহারাজগঞ্জ, সিদ্ধার্থনগর, বলরামপুর, শ্রাবস্তী, বাহরাইশ, লাখিমপুর খেরি এবং পিলভিট। উল্লেখ্য, এসব জেলা ভারত-নেপাল সীমান্তবর্তী অঞ্চল হিসেবে পরিচিত।
প্রশাসনের তথ্যমতে, ধ্বংস করা স্থাপনাগুলোর মধ্যে রয়েছে ২২৫টি মাদ্রাসা, ৩০টি মসজিদ, ২৫টি মাজার এবং ৬টি ঈদগাহ। প্রশাসনের দাবি, এসব স্থাপনা যথাযথ অনুমতি ছাড়াই নির্মাণ করা হয়েছিল। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই সীমান্তবর্তী এসব অঞ্চলে বেআইনি ধর্মীয় স্থাপনার মাধ্যমে ধর্মীয় উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদ ছড়ানোর আশঙ্কা ছিল।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মিরের অনন্তনাগ জেলার পেহেলগামের বৈসরন উপত্যকায় এক সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হন। তারা সবাই পুরুষ এবং অধিকাংশই হিন্দু ধর্মাবলম্বী ছিলেন। এই হামলার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয় ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ) নামের একটি জঙ্গি সংগঠন। ভারতের নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরভিত্তিক লস্কর-ই-তৈয়বা গোষ্ঠীর একটি শাখা এই টিআরএফ।
উত্তরপ্রদেশ সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকারে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছে যে, সীমান্তবর্তী অঞ্চলে গড়ে ওঠা কিছু অবৈধ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সন্ত্রাসবাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে এবং সেগুলোকে ‘প্রশিক্ষণ কেন্দ্র’ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটেই সম্প্রতি অবৈধ স্থাপনাগুলোতে অভিযান চালিয়ে ধ্বংসের পদক্ষেপ নেয়া হয়। প্রশাসনের এই পদক্ষেপ নিয়ে একদিকে যেমন সমর্থন রয়েছে, অন্যদিকে তা নিয়ে বিতর্কও তৈরি হয়েছে।
পড়ুন: গাজায় যুদ্ধ বন্ধ নয় : নেতানিয়াহুর
দেখুন: ইসরাইল ধ্বং’স হবে নিজেদের তৈরি বো/মা/য়! |
ইম/