২২/০৬/২০২৫, ০:০৪ পূর্বাহ্ণ
28 C
Dhaka
২২/০৬/২০২৫, ০:০৪ পূর্বাহ্ণ

ভারত ও পাকিস্তান কি যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাবে?

পারমাণবিক শক্তিধর দুই প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দফায় দফায় হামলা-পাল্টা হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় শনিবার যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। যদিও দুই পক্ষই আবার একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে।

এমন বাস্তবতায় অনেকের মনেই প্রশ্ন দানা বাঁধতে শুরু করেছে, দুই দেশ আদৌ কি দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হবে। আল-জাজিরা তার এক বিশ্লেষণে এসব প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় একটি আলোচনার পর ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে বলে ঘোষণা দেন ট্রাম্প। তিনি তাঁর মালিকানাধীন সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া পোস্টে লেখেন, ‘আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় রাতজুড়ে আলোচনার পর ভারত ও পাকিস্তান একটি পূর্ণাঙ্গ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।’

ট্রাম্প আরও লেখেন, ‘সাধারণ বুদ্ধিমত্তা ও অসাধারণ কূটনৈতিক প্রজ্ঞা ব্যবহার করার জন্য দুই দেশকেই অভিনন্দন। এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মনোযোগ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ!’


এই আলোচনায় কয়েকটি দেশ অংশ নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার ও ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধবিরতির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

বিক্রম মিশ্রি এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে যে আজ (শনিবার) ভারতীয় সময় বিকেল পাঁচটা থেকে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—তিন ক্ষেত্রেই সব ধরনের লড়াই ও সামরিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই সমঝোতা কার্যকর করার জন্য দুই পক্ষকেই প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং দুই দেশের সামরিক কার্যক্রম পরিচালনাকারী মহাপরিচালকেরা আবারও ১২ মে কথা বলবেন।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার বলেছেন, এ সমঝোতার পর ভারত ও পাকিস্তান সামরিক যোগাযোগ চ্যানেল এবং হটলাইনগুলো সচল করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, ভারত ও পাকিস্তান একটি ‘নিরপেক্ষ স্থানে বিস্তৃত ইস্যুতে আলোচনা শুরু করতে’ সম্মত হয়েছে।

তবে ভারতের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে এই দাবি আংশিকভাবে অস্বীকার করেছে। তারা বলেছে, ‘অন্য কোনো ইস্যুতে অন্য কোনো স্থানে আলোচনা করার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’

লন্ডনের এসওএএস বিশ্ববিদ্যালয়ের সাউথ এশিয়া ইনস্টিটিউটের পরিচালক সুবীর সিনহা আল–জাজিরাকে বলেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিস্তৃত পরিসরে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা শুরু করাটা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জের। কারণ, ভারত আগেও এ ধরনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।

ভারত ও পাকিস্তান কি যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাবে?

সুবীর সিনহা বলেন, পাকিস্তাননীতি নিয়ে মোদি সরকারের তথাকথিত ‘দৃঢ় অবস্থানের’ অন্যতম একটি যুক্তি হলো—এখন আর আলোচনায় বসা এবং বিস্তৃত ও দীর্ঘমেয়াদি অঙ্গীকারের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের অঙ্গীকার করা সম্ভব নয়।


এখন ভারত সরকার যদি এ অবস্থান থেকে সরে আসে, তবে দেশের ডানপন্থী গোষ্ঠী নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে। এ গোষ্ঠী দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তানের ওপর সামরিক হামলা চালানোর আহ্বান জানিয়ে আসছে।

দেখুন: ঘোষণা হলেও থামবে কি ভারত-পাকিস্তান যু/দ্ধ?

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন