ভারত বাঁধ খুলে দেয়ায় বাংলাদেশে বন্যা দেখা দিয়েছে। এমন অভিযোগ তুলে, দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, এটা প্রতিবেশী দেশটির ষড়যন্ত্র। দুদেশের অভিন্ন নদীগুলোর ন্যায্য হিস্যার দাবিও উঠে এসেছে বিক্ষোভে।
সাড়ে তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যায় নাকাল দেশের পূর্বাঞ্চল। অনেকে অভিযোগ করছেন, ভারতের ডুম্বুর ও গজলডোবা বাঁধ খুলে দেয়ায়, এমন পরিস্থিতি। যদিও, তা মানতে নারাজ ভারত।
এমন অবস্থায়, দেশের বিভিন্ন স্থানে শুরু হয়েছে ভারতবিরোধী বিক্ষোভ। ভোলায় বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ, বাঁধ খুলে দিয়ে বাংলাদেশে বন্যার সৃষ্টি করেছে ভারত। এ বিষয়ে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তারা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ভারত, চীন, নেপাল ও ভুটানকে আন্তর্জাতিক নদী কনভেনশনে স্বাক্ষর করতে হবে। ভারত এই কনভেনশনে স্বাক্ষর না করলে, ফারাক্কা লং মার্চের মতো আরেকটি লং মার্চ করা হবে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ভারত উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বাঁধ খুলে দিয়েছে। আর তাতেই বাংলাদেশে আকস্মিক বন্যার সৃষ্টি হয়েছে।
দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও বিক্ষোভ করেছে। তাদের অভিযোগ, আন্তর্জাতিক নদীর পানির অপব্যবহার করেছে ভারত। যা বাংলাদেশকে পঙ্গু বানানোর ষড়যন্ত্র।
এদিকে, ঝিনাইদহে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। ভারতীয় আগ্রাসন ও সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যার প্রতিবাদ জানান তারা।