সংকট, সমাধান, আর সম্ভাবনার গল্পে কেটে গেলো ৭ টি বছর। ৮ বছরে পা রাখলো বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় টেলিভিশন- নাগরিক। নব যাত্রায় কথা ছিলো শুধু তথ্য কিংবা বিনোদনের আধার নয়, সম্পর্কের মায়ায় জড়াবে নাগরিক। ২০১৮ থেকে ২৫, এই ছ’বছরে এসেছে করোনাসহ নানা সংকট, সাক্ষী হয়েছে জাতীয়, আন্তর্জাতিক নানা ঘটনার। নাগরিকের তরে নাগরিক আগলে রেখেছে সম্পর্কের অদৃশ্য সুঁতোয়।
প্রযুক্তি উৎকর্ষতা আর ক্ষয়ে যাওয়া সময়ে, সংকট চতুরপাশে। বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দোলাচলে মানুষ। গণমাধ্যমের এই শীতল সময়ে উষ্ণতার বার্তা নিয়ে নাগরিকের স্বপ্নযাত্রা। গণমাধ্যমে কথা হবে গণমানুষের, জাত-পাত, উঁচু-নিচু। উঠবে বিভেদের দেয়াল ভাঙ্গার নতুন সুর। মানুষ ঋদ্ধ হবে, বাঁচবে, অর্থ নয় সম্পর্কের মায়ায়। কল্পনায় গণমাধ্যমের এমন চিত্রকল্প এঁকেছিলেন, আনিসুল হক, সফল ব্যবসায়ী, মেয়র, ত্রাণকর্তা ঝিমিয়ে পড়া ঢাকার। সেই কল্পনারই অঙ্কুরোদগম নাগরিক টেলিভিশন।

কিন্তু সেই লগ্নে থাকা হলো না তার। যখন ঝলমলে স্ক্রীণে তার ছবি তখন তিনি ওপারের মায়ায়। তবে তার চিন্তা দর্শনের অন্যতম প্লাটফর্ম হয়ে উঠে নাগরিক।
সময়ের বাঁকে নদীও হারিয়ে যায়, নাগরিকও চড়াই উৎরাই পেরিয়েছে। তবে ধারণ করতে পারে আনিসুল হকের সেই বিশাল চিন্তার সবটুকু। রাষ্ট্র ও সমাজের ভিন্ন বাস্তবতায় নতুন করে এগুচ্ছে নাগরিক যার নেতৃত্বে আনিসুল হকের স্ত্রী ডক্টর রুবানা হক ও পুত্র নাভিদুল হক।

ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ার ৮ বছরে নাগরিক
এরই মধ্যে একে একে কেটে গেছে ৭ বছর। রাজনীতি, অর্থনীতি এবং অনিয়ম দুর্নীতির বস্তুনিষ্ঠ সংবাদে নাগরিক আস্থা অর্জন করেছে সব শ্রেণির দর্শকের। সমান পদচারণা বাংলা সিনেমা- নাটক, গানসহ বাঙ্গালী সংস্কৃতির সব দিকেই।
চ্যানেলটি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বস্তুনিষ্ঠভাবে সংবাদ তুলে ধরার চেষ্টা করে আসছে। নাগরিক ভোগান্তি ও উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ার পাশাপাশি অনিয়ম ও দুর্নীতির খবর তুলে ধরে আলোচনায় আছে নাগরিক টিভি।
পালা বদলের হাওয়া লেগেছে নাগরিকেও। ভার্চুয়াল মাধ্যম মাল্টি মিডিয়া কন্টেন্টেও শীর্ষদের কাতারে নাগরিক। হয়তো পাল্টাবে আরও, এই পরিবর্তন ও পরিবর্ধনের মধ্যে দিয়েই নাগরিক স্থায়ী সম্পর্ক গাঢ়ে দর্শক, কলাকুশলী, বিজ্ঞাপনদাতা, ক্যাবল অপারেটরসহ সবার সঙ্গে। এগিয়ে যাওয়ার এই বন্ধন আরও দৃঢ় হোক অষ্টমীতে প্রত্যাশাও তাই ।
দেখুন: নতুন দলের আত্মপ্রকাশের দিনে মন খারাপ আবু সাঈদের পরিবারের!