29.5 C
Dhaka
বুধবার, মার্চ ২৬, ২০২৫

বিশ্ব ভালোবাসা দিবস আজ

আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস বা ভ্যালেন্টাইনস ডে। ঋতুরাজ বসন্তের দ্বিতীয় দিনে ভালোবাসা দিবসে বাঙালির মন ভালোবাসায় রাঙা হয়ে ওঠে।

ভালোবাসা দিবসে যুগলদের মনের উচ্ছ্বাস বাড়ে। এদিন তরুণ-তরুণীসহ নানা বয়সের মানুষ একসঙ্গে সময় কাটান।

ভালোবাসা দিবস শুধু প্রেমিক-প্রেমিকার জন্য নয়; মা-বাবা, স্বামী-স্ত্রী, ভাই-বোন, প্রিয় সন্তান ও বন্ধুর জন্যও। এদিন চলে উপহার বিনিময়ও।

দেশের বিভিন্ন স্থানে নানা আয়োজন ও আনুষ্ঠানিকতায় দিনটি পালিত হয়। বিভিন্ন স্থানে কনসার্টও আয়োজন করা হয়।

ফেব্রুয়ারির এই সময়ে পাখিরা জুটি খুঁজে বাসা বাঁধে। গাছপালায় নতুন পাতা জেগে ওঠে, ফুল ফোটে। এই দিনে চকোলেট, পারফিউম, গ্রিটিংস কার্ড, ই-মেইল, এসএমএস, হীরার আংটি, প্রিয় পোশাক, খেলনা বা বই উপহার দেওয়া হয়।

নীল খামে লিপস্টিকের দাগ, গোলাপ ফুল, চকোলেট, ক্যান্ডি, চিরকুটে গদ্য বা পদ্য উপহার দেওয়া হয়।

ইতিহাসবিদদের মতে, এই উৎসবের সূত্রপাত দুটি প্রাচীন রোমান প্রথা থেকে হয়েছে। খ্রিস্টান পাদ্রী ও চিকিৎসক ফাদার সেন্ট ভ্যালেনটাইনের নামে দিনটির নামকরণ হয় ‘ভ্যালেন্টাইনস ডে’। ২৭০ খ্রিস্টাব্দের ১৪ ফেব্রুয়ারি রোমান সম্রাট গথিকাস আহত সেনাদের চিকিৎসার কারণে সেন্ট ভ্যালেনটাইনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। মৃত্যুর আগে ফাদার ভ্যালেনটাইন তার আদরের মেয়েকে একটি চিঠি লেখেন, যেখানে তিনি সই করেছিলেন ‘ফ্রম ইওর ভ্যালেনটাইন’। তার মেয়ে এবং তার প্রেমিক পরের বছর থেকে তার মৃত্যুর দিনটিকে ভ্যালেন্টাইনস ডে হিসেবে পালন করতে শুরু করেন। যুদ্ধে আহতদের সেবার জন্য সেন্ট ভ্যালেনটাইনের আত্মত্যাগের দিনটি বিশ্বব্যাপী পালিত হতে থাকে।

প্রায় ৪০০ খ্রিস্টাব্দের দিকে ভ্যালেন্টাইনস ডে সার্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়। এর পেছনে একটি কারণ ছিল রোমানরা প্রতি বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘জুনো’ উৎসব পালন করত। রোমান পুরানের বিয়ে ও সন্তানের দেবী জুনোর নামে এই উৎসবের নামকরণ হয়। এদিন অবিবাহিত তরুণরা কাগজে নাম লিখে লটারির মাধ্যমে তাদের নাচের সঙ্গীকে বেছে নিত। ৪০০ খ্রিস্টাব্দের দিকে রোমানরা খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীতে পরিণত হলে ‘জুনো’ উৎসব ও সেন্ট ভ্যালেনটাইনের আত্মত্যাগের দিনটি মিলে ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘ভ্যালেন্টাইনস ডে’ হিসেবে উদযাপন শুরু হয়। পরে এটি সমগ্র ইউরোপ ও বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে।

এনএ/

দেখুন: সামনে ভালোবাসা দিবস, কিসে আকৃষ্ট হবে পছন্দের মানুষ?

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন