ভাষাশহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানুষের ঢল নেমেছে। সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং সংগঠনের পক্ষ থেকে তারা শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন।
আজ শুক্রবার ( ২১ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টা ৪০ মিনিটে সাধারণ মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পলাশী মোড়ের প্রবেশ পথ খুলে দেওয়া হয়। এরপর সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে শহীদ মিনারে।

সর্বপ্রথম রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা নিবেদনের পর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও বিচার বিভাগের বিচারপতিরা শ্রদ্ধা জানান। তারপর অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এরপর বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক ও হাইকমিশনাররা এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বে অন্যান্য নির্বাচন কমিশনাররা শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
বিভিন্ন সময়ে তিন বাহিনীর পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর প্রধানরা। এরপর বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি, ডিএমপি কমিশনার এবং আনসার, বিজিবি, র্যাব, এনএসআইর মহাপরিচালকরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও অমর একুশে উদযাপন কমিটির সদস্যরাও শহীদ বেদিতে ফুল দেন। তাদের পরে বিএসএমএমইউর উপাচার্যসহ অন্যান্য শিক্ষক এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ অন্যান্য শিক্ষকরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

এরপর থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও সাধারণ মানুষ একে একে ফুল দিয়ে ভাষার জন্য আত্মদানকারী শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
শহীদ মিনার এলাকায় দেখা যায়, ব্যানার, ফুল এবং পুষ্পমাল্যসহ শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। শিশু থেকে বৃদ্ধ সবার কণ্ঠে সুর ওঠে, ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি।’ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনও শ্রদ্ধা জানাচ্ছে।
এনএ/


