মধ্য-দক্ষিণ এশিয়ার দেশ আফগানিস্তানে হিন্দুকুশ অঞ্চলে আজ বুধবার (১৬ এপ্রিল) ভোরে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ইউরোপীয়-ভূমধ্যসাগরীয় ভূকম্পন কেন্দ্র (ইএমএসসি) জানায়, ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৫.৬ এবং এর উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১২১ কিলোমিটার গভীরে। তবে প্রাথমিকভাবে একে ৬.৪ মাত্রার ভূমিকম্প হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল।
ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল আফগানিস্তানের বাঘলান শহর থেকে ১৬৪ কিলোমিটার পূর্বে। যদিও ছিল মাঝারি মাত্রার, এখন পর্যন্ত এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। ভারতের ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির তথ্যমতে, ভারতীয় সময় ভোর ৪টা ৪৪ মিনিটে কম্পন অনুভূত হয় এবং এর গভীরতা ছিল ৭৫ কিলোমিটার। দিল্লি ও এনসিআর এলাকায় এই কম্পনের প্রভাব অনুভূত হয়েছে বলে জানিয়েছে একাধিক বাসিন্দা।

এদিকে, একই দিনে সকালে তাজিকিস্তানেও পৃথক একটি ৫.৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে।
এটি দেশটিতে গত ৪৮ ঘণ্টায় তৃতীয় উল্লেখযোগ্য । এই কম্পনের প্রভাব আফগানিস্তান ও কিরগিস্তানেও অনুভূত হয়েছে। তবে কোথাও বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ায় সম্প্রতি একাধিক আঘাত হেনেছে। এর আগে, কয়েকদিন আগেই মায়ানমারে একটি শক্তিশালী প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এছাড়া মঙ্গলবার রাতে তিব্বত ও বিকালে নেপালেও মাঝারি মাত্রার অনুভূত হয়েছে। তবে সেসব এলাকায়ও বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে, মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, আজ ফিলিপিন্সের মিন্দানাও দ্বীপের উপকূলে ৫.৩ মাত্রার অনুভূত হয়েছে। এর কেন্দ্রস্থল ছিল মাইতুম শহর থেকে প্রায় ৪৩ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, জনবিরল পাহাড়ি এলাকায়। এখানেও তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রাণহানি বা ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি।
ভৌগলিকভাবে আফগানিস্তান একটি প্রবণ দেশ। গত তিন দশকে সেখানে ভূমিকম্পে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, প্রবণ অঞ্চলে ভবিষ্যত বিপর্যয় রোধে সচেতনতা ও প্রস্তুতি বাড়ানো জরুরি।
পড়ুন: কেঁপে উঠল যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া
দেখুন: সারা দেশে ঝড়ের পূর্বাভাস, নদীবন্দরে সতর্ক সংকেত |
ইম/