ডিসেম্বরে সয়াবিন তেলের দাম লিটারে আট টাকা বাড়িয়েও খুশী নন উৎপাদকরা। ফের দর সমন্বয় করতে চান তারা। নতুন প্রস্তাব ও পাঠানো হয়েছে ট্যারিফ কমিশনে। তবে সিদ্ধান্ত আসার আগেই বাজারে সয়াবিন তেলের সরবরাহ কমে গেছে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ মিলার ও কর্পোরেট কোম্পানির দিকে।
বাণ্যিজ্যের সব যুক্তি যেন বাংলাদেশে এসে হার মানে। যেমন ধরুন সয়াবিন তেল। গেল অক্টোবর ও নভেম্বরে বিশ্ব বাজারে অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের দাম দুই দফা বাড়ে। বুকিং রেট দাড়ায় ১১৪৫ ডলারে। ডিসেম্বর সেই দাম কমে হয় ১০৬৪ ডলার। দুই দফা শুল্ক কমায় সরকারও। তবে এসবের পরেও ডিসেম্বরে তেলের দাম না কমে উল্টো বেড়েছে।
দাম বাড়িয়ে সরবরাহ কিছুদিন স্বাভাবিক ছিলো। এখন আবার যেই-কে-সেই। রাজধানীর বাজারগুলোয় দেখা নেই চিরচেনা সয়াবিন তেলের কাটুনের স্তুপ। রাইস ব্র্যান আর সানফ্লাওয়ার তেলের দাপট। ডিলারের থেকে পণ্য আসছে যেন অঙ্কের হিসেব কষে। এক কোম্পানির পাঁচটি তেলের বোতল বেশি মিললে আরেক কোম্পানি দিচ্ছে শুধু এক দুই লিটারের প্যাকেজ। সিন্ডিকেটের দাম বৃদ্ধি ও সরবরাহ সংকটে দিশেহারা ভোক্তারা।
খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, দাম বাড়ানোর যে পায়তারা চলছে তা বাস্তবায়ন করতেই বাজারে তৈরি করা হয়েছে তেলের কৃত্রিম সংকট।
বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট সমাধানে বানিজ্য উপদেষ্টা যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলছেন ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ।
এনএ/