ভোলায় এক দাখিল পরীক্ষার্থী ১৬ বছরের তরুনী ও পাঁচ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার রাতে (১১ এপ্রিল) নির্যাতনের শিকার ওই দুইশিশু ভোলা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, বোরহানউদ্দিন উপজেলার হাসাননগন ইউনিয়নের খাসমহল বাজার এলাকার দাখিল পরীক্ষার্থী ( ১৬ বছরের তরুনী) শুক্রবার রাত ১১টায় প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে ঘরের বাইরে যায়। এসময় আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা প্রতিবেশি ওমর কাজী (৩৫) মারধর করে জোরপূর্বক বাগানে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে। টের পেয়ে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে রাতেই ভোলার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান। অভিযুক্ত ওমর কাজী একই এলাকার বশির উল্যাহর ছেলে। তিনি বিবাহিত ও এক সন্তানের জনক।
এদিকে শুক্রবার বিকালে সদর উপজেলার চরসামাইয়া ইউনিয়নের শান্তিহাট এলাকায় ৫ বছরের এক শিশুকে চিপস এর প্রলোভন দেখিয়ে খালেক (১৪) নামের এক কিশোর ধর্ষণ করার অভিযোগ করেন শিশুর মা। অসুস্থ অবস্থায় রাতে তাকেও ভোলার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নির্যাতিতা শিশুর মা এ ঘটনায় সহায়তা করার জন্য হাবিব, বাপ্পি ও ফাহিম নামের আরও তিন কিশোরর নামে অভিযোগ করে। ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ভিক্টিম ও তাদের পরিবার।

ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ড. শেখ সুফিয়ান রুস্তম জানান, ভর্তির পর থেকে ভিক্টিমদের যথাযথ চিকিৎসা দিচ্ছেন। দুইজনই বর্তমানে ভালো আছে।
এ ব্যাপারে ভোলা মডেল থানার ওসি আবু সাহাদাৎ মো. হাচনাইন পারভেজ জানান, চরসামাইয়া ইউনিয়নের শিশু ধর্ষণের বিষয়ে প্রাথমিক তদন্ত চলছে এবং মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
অন্যদিকে ভোলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শরীফুল হক জানান, বোরহানউদ্দিনে দাখিল পরীক্ষার্থীকে ধর্ষনের অভিযোগে অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেফতারে মাঠে রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে যে দোষী তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।