28 C
Dhaka
সোমবার, নভেম্বর ১১, ২০২৪
বিজ্ঞাপন

মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ইসরায়েলের বর্বরতা, গাজায় নিহত ১৮

ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ইরানের সাম্প্রতিক ব্যাপক আকারের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাব দিতে দেশটিতে পাল্টা হামলা চালানোর ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। শনিবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক এক ভাষণে এই ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী।

নেতানিয়াহু বলেন, “সম্প্রতি ইরান ইসরায়েলের যে মাত্রার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে, বিশ্বের অন্য কোনো দেশ তাদের ভূখণ্ড ও জনগণের ওপর এই মাত্রার হামলা বরদাস্ত করবে না, ইসরায়েলও করবে না।”

“নিজের ভূখণ্ড ও নাগরিকদের রক্ষা করা শুধু অধিকারই নয়, এটি ইসরায়েলের দায়িত্বও। ইসরায়েল সেই দায়িত্ব নিশ্চিতভাবেই পালন করবে।”

ইসরায়েলের বিমান হামলায় কাঁপছে বৈরুত
লেবাননের রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলে গতকাল শনিবার রাত থেকে আজ রোববার সকাল পর্যন্ত তীব্র বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। কোথাও কোথাও হামলা ‘খুব নৃশংস’ ছিল বলে জানিয়েছে সরকারি একটি সংবাদ সংস্থা।

লেবানন থেকে এএফপির প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, যে হামলাগুলো সবচেয়ে তীব্র ছিল, তার মধ্যে একটিতে টানা দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বোমাবর্ষণ চলেছে।

লেবাননের ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সির খবরে বলা হয়, ‘ইসরায়েলি শত্রু যুদ্ধবিমান থেকে (বৈরুতের) দক্ষিণের শহরতলিগুলোতে চারটি খুবই নৃশংস হামলা চালানো হয়েছে। এরমধ্যে একটি হামলা হয়েছে চুয়েফাত এলাকায়। হামলার পর ওই এলাকায় কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স যেতে দেখা গেছে।’

গাজার মসজিদে বিমান হামলায় নিহত ১৮
ফিলিস্তিনের গাজার একটি মসজিদে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ১৮ জন নিহত এবং কয়েক ডজন মানুষ আহত হওয়ার খবর দিয়েছে ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা।

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধের প্রথম বার্ষিকীর আগ মুহূর্তে মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ এলাকার আল-আকসা হাসপাতালের কাছে ওই মসজিদে হামলা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বাস্তুচ্যুত বহু মানুষ ওই মসজিদে আশ্রয় নিয়েছিল, সে কারণে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, “দেইর আল বালাহ এলাকায় একসময়ের ‘শুহাদা আল-আকসা’ মসজিদে সুনির্দিষ্টভাবে হামাস সন্ত্রাসীদের ওপর হামলা করা হয়েছে, যারা সেখানে কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার পরিচালনা করছিল।”

-বিজ্ঞাপন-
বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন