সারাদেশে জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে আয়োজিত হয় শারদীয় দুর্গাপূজার মহাঅষ্টমী। এদিনের মূল আকর্ষণ মহাষ্টমীতে কুমারী পূজা আয়োজন।
গাজীপুরের ৪০৫টি মন্ডপে অষ্টমী বিহিত পূজা, সন্ধি পূজা ও কুমারী পূজার মধ্যে দিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে মহা অষ্টমী উদযাপীত হয়। দুর্গাপূজা নির্বিঘ্ন করতে প্রশাসন সার্বক্ষনিক ঠলে ছিল।
বগুড়ায় এবার ৬২৮টি পূজা মন্ডপে ৬ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন। মন্দির—মণ্ডপে পূজার ধর্মীয় আচার ও প্রতিমা দর্শনে যেমন ভক্তরা উচ্ছাসিত, তেমনি পূজার মেলা নিয়ে ছিল আনন্দিত।
কুমিল্লা ঐতিহ্যবাহী শ্রী শ্রী রাজরাজেশ্বরী কালী বাড়িসহ জেলার প্রতিটি পূজামণ্ডপে অনুষ্ঠিত হয় মহাঅষ্টমী পূজা। মহানগরীসহ জেলার ৭৫১ টি পূজা মন্ডপে শারতীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়।
বরিশাল নগরীর মন্ডপগুলোতে মহাঅষ্টমীর কল্পারম্ভ পূজার পর অঞ্জলি দেয় ভক্তরা। ভক্তরা মা দুর্গার কাছে পরিবার ও বিশ্বের দুর্গতি নাশ করে সকলের জন্য শান্তি আর সমৃদ্ধি কামনা করেন।
ময়মনসিংহ উৎসবমূখর পরিবেশে নগরীর রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমে অনুষ্ঠিত হয় কুমারী পূজা। টাঙ্গাইলেও অষ্টমী তিথিতে দেবী দূর্গার পায়ে পুষ্পাঞ্জলি দিতে নারী—পুরুষের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ করা যায়।
নারায়ণগঞ্জে প্রদ্বীপ জ্বেলে, উলুধ্বণি দিয়ে আট বছরের একটি শিশুকে দেবীর আসনে বসিয়ে, পূজো করা হয়। জেলায় ২১৪ টি মন্ডপে সারদীয় দূর্গা পুজা পালিত হচ্ছে।
নরসিংদীতে বিভিন্ন পূজার মন্ডপ পরিদর্শন করেছেন ঢাকা রেঞ্জ পুলিশের উপমহাপরিদর্শক। মণ্ডপগুলোতে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিতে সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন। পরিদর্শনকালে তিনি পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দের ও সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
ভক্তদের সমাগমে মুখরিত ছিল নাটোরের মন্দিরগুলোর। পরে ভক্তদের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ, সন্ধি পূজা সহ নানা ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের শেষ হয়েছে মহাঅষ্টমী।
দূর্গাপূজায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং জনমনে আস্থা ও মনোবল বৃদ্ধি করতে ঠাকুরগাঁওয়ে সীমান্তে পুজামন্ডপ পরিদর্শন করেন বিজিবি। জোরদার করা হয়েছে টহল।
দিনাজপুরে নানা আচার অনুষ্ঠানসহ পালন করা হয় কুমারী পূজা। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পূজা উদযাপনে নিরাপত্তায় ছিলো সেনাসদস্যরা।
এবারের দূর্গাপূজায় কেটে যাবে সব অশান্তি ও সংঘাত, বয়ে আনবে সমৃদ্ধি প্রত্যাশা সনাতন ধর্মাবম্বীদের।