সারা দেশের ৩০ জন দরিদ্র আনসার ও ভিডিপি সদস্যের হাতে উঠছে ‘সাশ্রয়ী মূল্যের ঘর’। তাঁদের মধ্যে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার নস্তি গ্রামের সহকারী আনসার প্লাটুন কমান্ডার রেবেকা খাতুনও একজন। উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা খুশি খাতুনের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় রেবেকা খাতুন এই ঘরটি পেয়েছেন।
রেবেকা খাতুন বহু বছর ধরে আনসার ভিডিপিতে কর্মরত। পরিবারের আর্থিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তিনি নিজস্ব ঘর নির্মাণ করতে পারছিলেন না। কিন্তু এবার বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ‘সাশ্রয়ী মূল্যের বাড়ি’ প্রকল্পের আওতায় স্বপ্নের ঘর পেয়েছেন তিনি।
রেবেকা খাতুন বলেন, নিজের একটা পাকা ঘর হবে এটা কখনো ভাবিনি। এই ঘর পেয়ে মনে হচ্ছে নতুন জীবন শুরু হলো। আনসার ও ভিডিপি বাহিনী এবং উপজেলা কর্মকর্তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।
উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা খুশি খাতুন বলেন, রেবেকা খাতুন দীর্ঘদিন ধরে এ বাহিনীর সাথে জড়িত আছেন । দরিদ্র সদস্য হিসেবে তাঁর জন্য আমরা আবেদন করি এবং তিনি মনোনীত হন। এ ঘরটি তাঁর জীবনে স্থায়ী আশ্রয়ের নিশ্চয়তা এনে দেবে।
তিনি আনসার ও ভিডিপির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আব্দুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ কে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আরও জানান, সারা দেশে দরিদ্র আনসার ভিডিপি সদস্যদের জীবনমান উন্নয়ন ও নিরাপদ আবাসন নিশ্চিত করতে এ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ঘরে শোবার ঘর, টিউবওয়েল ও স্যানিটারি ল্যাট্রিনসহ মৌলিক সুবিধা রাখা হয়েছে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসী এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁদের মতে, রেবেকা খাতুনের মতো পরিশ্রমী সদস্যরা সমাজের অনুকরণীয় উদাহরণ।
সরকারের এই উদ্যোগ আনসার ভিডিপি সদস্যদের মাঝে নতুন আশার সঞ্চার করেছে। ‘সাশ্রয়ী মূল্যের ঘর’ প্রকল্প ভবিষ্যতে আরও সম্প্রসারিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
পড়ুন: প্রধান শিক্ষকের যোগদানকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, ধাওয়ার মুখে পালিয়ে বাঁচলেন শিক্ষক
দেখুন: টাঙ্গাইলে বাসে ডাকাতি: গ্রে*প্তার ১, কিছু মালামাল উদ্ধার
ইম/


