১৬/১১/২০২৫, ১১:৩৯ পূর্বাহ্ণ
23 C
Dhaka
১৬/১১/২০২৫, ১১:৩৯ পূর্বাহ্ণ
বিজ্ঞাপন

মাদারীপুরে পুলিশ হেফাজতে নির্যাতন, ওসিসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ

মাদকসহ তিন যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে নির্যাতনের প্রমাণ পাওয়ায় মাদারীপুরের রাজৈর থানার পরিদর্শক তদন্ত সঞ্জয় কুমার ঘোষসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে পুলিশ সুপারকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশও দেয়া হয়েছে।

বিষয়টি জানাজানি হলে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে রিভিশন দাখিল করেছেন অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তারা। এ নিয়ে আগামী মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত।

এ দিকে এ ঘটনায় রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) তদন্তপূর্বক দোষীদের বিচার দাবি করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার।

এর আগে গত ২৫ সেপ্টেম্বর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. এলিয়াম হোসেন অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ দেন।

জানা যায়, গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজৈর থানার পরিদর্শক সঞ্জয় কুমার ঘোষ এর নেতৃত্ব পৌরসভার স্বমঙ্গল এলাকায় মাদক উদ্ধার অভিযানে যায় থানা পুলিশ। এ সময় থানার এসআই তরিকুল ইসলাম, এসআই এ এইচ এম কামরুজ্জামান, এএসআই জাহিদুল ইসলামসহ সঙ্গীয় সদস্যরা ভ্রাম্যমাণ ফল বিক্রেতা ইলিয়াস খালাসি, দুবাই প্রবাসী সুজন মোল্লা ও স-মিলের শ্রমিক সুমন খাঁনকে আটক করেন তারা।এসময় তাদের তল্লাশি করে ৫০ পিচ ইয়াবা উদ্ধারের দাবি করে পুলিশ। এ ঘটনায় পরদিন এসআই এ এইচ এম কামরুজ্জামান বাদী হয়ে রাজৈর থানায় আটকদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা করেন।

পরে আদালতে হাজির করা হলে তাদের বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।তবে আসামিপক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়, গ্রেফতার তিনজনকে থানায় নিয়ে শারীরিক নির্যাতন করে পুলিশ। এরমধ্যে ইলিয়াস খালাসির বাম হাতের কব্জি থেকে কনুই পর্যন্ত পিস্তলের বাট দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। আর বাম পায়ের উরুতে বুটের লাথি মারা হয়েছে। এ সময় বিচারক আসামির শরীরের দৃশ্যমান জখম দেখতে পান। তাৎক্ষণিক জেলার সিভিল সার্জনকে আসামির চিকিৎসা ও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মেডিকেল রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দেন বিচারক।

এদিকে অভিযুক্ত পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত সঞ্জয় কুমার ঘোষের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।

সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ শরিফুল আবেদীন কমল আসামিকে নির্যাতনের সত্যতা পাওয়ায় মেডিকেল রিপোর্ট ১৯ সেপ্টেম্বর আদালতে পাঠান।

এ বিষয়ে জানার জন্য মাদারীপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের মুঠোফোনে ফোন করে পাওয়া যায়নি।

বিজ্ঞাপন

পড়ুন :মাদারীপুরে শান্তি ও স্থিতিশীলতার আহ্বানে জাকের পার্টির জনসভা ও র‍্যালি

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

বিশেষ প্রতিবেদন