17 C
Dhaka
শনিবার, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৫

মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা তদন্তে ফলকার টুর্ককে চিঠি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের

বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন ও ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পরবর্তী সময়ে (গত ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট) মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা তদন্তে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিসংঘের সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ।

আজ শুক্রবার (৩০ আগস্ট) সুইজারল্যান্ডের জেনেভা থেকে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের মুখপাত্র রাভিনা সামদাসানি প্রচারিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

ব্রিফিংয়ে বলা হয়, বাংলাদেশে ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার একটি নিরপেক্ষ ও স্বাধীন তথ্যানুসন্ধানের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ পেয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক।

ব্রিফিংয়ে বলা হয়, জাতিসংঘের একটি অগ্রবর্তী দল গত সপ্তাহে (২২-২৯ আগস্ট) বাংলাদেশ সফর করে। প্রতিনিধি দলটি সফরকালে সাম্প্রতিক বিক্ষোভের ছাত্রনেতারা, যাদের অনেকে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে আটক বা আহত হয়েছেন, তাদের পাশাপাশি অন্তর্বর্তী সরকারের বেশ কয়েকজন উপদেষ্টা, প্রধান বিচারপতি, পুলিশ ও সশস্ত্র বাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা, আইনজীবী, সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী, রাজনৈতিক দল, সংখ্যালঘু ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করেছে। 

এতে বলা হয়, বাংলাদেশে বলপূর্বক গুমের বিষয়টির একটি দীর্ঘ ও বেদনাদায়ক ইতিহাস রয়েছে। যা সুরাহার জন্য জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর ও জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রক্রিয়া জোরালোভাবে আহ্বান জানিয়ে আসছে। বাংলাদেশের গঠিত জাতীয় তদন্ত কমিশনের কাজে সহায়তার জন্য তারা প্রস্তুত। 

এতে আরও বলা হয়, গণতন্ত্রকে পুনরুজ্জীবিত করতে, জবাবদিহি, পুনর্মিলন ও বাংলাদেশের সব মানুষের জন্য মানবাধিকার সমুন্নত রাখার গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে দেশটির অন্তর্বর্তী সরকার ও জনগণকে সমর্থন করার জন্য জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক দপ্তর উন্মুখ হয়ে আছে।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন