১৩/০৬/২০২৫, ১৪:০৫ অপরাহ্ণ
35 C
Dhaka
১৩/০৬/২০২৫, ১৪:০৫ অপরাহ্ণ

এবার ভারতের মানবাধিকার লঙ্ঘনের তথ্য দিল জাতিসংঘ

রাজধানী দিল্লি থেকে ৪০ জন রোহিঙ্গাকে ধরে নিয়ে বঙ্গোপসাগরের পাশে আন্দামান সাগরে নিয়ে ফেলে দিয়েছে ভারত। এবার এমনই এক তথ্য দিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস।

গতকাল শুক্রবার (১৬ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে এপি। 

জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস জানিয়েছে, ভারত সরকার সম্প্রতি মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের জোরপূর্বক ফেরত পাঠানোর কার্যক্রম জোরদার করেছে। অভিযোগ রয়েছে, ভারতীয় নৌবাহিনী ৪০ জন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে সাগরে ফেলে দিয়েছে।

২০১৭ সালে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর জাতিগত নিধন থেকে বাঁচতে লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এ সময় ২২ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা ভারতে প্রবেশ করে, যাদের জাতিসংঘ শরণার্থী হিসেবে স্বীকৃতি দিলেও ভারত সরকার তা স্বীকার করেনি। ভারত তাদের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য হুমকি মনে করে এবং তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ তোলে।

মানবাধিকার সংস্থাগুলো দাবি করেছে, রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী অমানবিক আচরণ করছে। ৬ মে নয়াদিল্লি থেকে ৪০ জন রোহিঙ্গাকে আটক করে তাদের চোখ বেঁধে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর ভারতীয় নৌবাহিনীর একটি জাহাজে তুলে সাগরের মাঝখানে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে তাদের লাইফ জ্যাকেট দিয়ে পানিতে ঝাঁপ দিতে বাধ্য করা হয়।

পিপলস ইউনিয়ন ফর সিভিল লিবার্টিজ (পিইউসিএল) জানিয়েছে, পানিতে ফেলে দেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে কিশোর, বয়স্ক এবং ক্যানসার রোগীও ছিলেন। ভাগ্যক্রমে সবাই তীরে পৌঁছাতে সক্ষম হন। অনেকে অভিযোগ করেছেন, ভারতীয় নৌ সেনারা তাদের মারধর ও নির্যাতন করেছে।

জাতিসংঘের বিশেষ দূত টম অ্যান্ড্রুজ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ভারত সরকারকে বিস্তারিত তথ্য জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

এদিকে, গত সপ্তাহে বাংলাদেশেও ৭৮ জন রোহিঙ্গাকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী গুজরাট থেকে ধরে এনে সুন্দরবনে ফেলে দেয়। পরে বাংলাদেশ তাদের উদ্ধার করে। অভিযোগ রয়েছে, তাদের নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়েছিল এবং না খাইয়ে রাখা হয়েছিল।

এ ঘটনায় মানবাধিকার সংগঠনগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা নিশ্চিতের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা প্রয়োজন বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

এনএ/

দেখুন: মানবাধিকার নিয়ে জাতিসংঘের উদ্বেগের জায়গায় বাংলাদেশ নেই

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন