ধর্ষণ মামলায় ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ এবং ১৮০ কার্যদিবসে বিচার শেষ করা কথা থাকলেও অধিকাংশ মামলা ক্ষেত্রেই নেই বাস্তবায়ন। এরইমধ্যে আইনটি সংশোধন করে সময় আরো কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে আইনজ্ঞরা বলছেন, বাস্তবায়ন যোগ্য নয়।
২০২৫, কোন ভাবেই যেন লাগাম টানা যাচ্ছে না নারী নির্যাতন, নিপীড়ন কিংবা ধর্ষনের। বছরের প্রথম দুই মাসে ধর্ষণের সংখ্যা প্রায় একশ ছুঁইছুঁই। এর মধ্যে জানুয়ারি মাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে কমপক্ষে ৪২টি। ফেব্রুয়ারিতে তা গিয়ে দাড়ায় ৫৭-তে। এ ধরনের সহিংসতা থেকে রেহাই পায়নি শিশুরাও গত দুই মাসে কমপক্ষে ২৫শিশু ধর্ষণ শিকার হয়েছে।
ধর্ষন ও নারী নির্যাতনের বিচারে আইনে বলছে, ৯০ দিনে তদন্তে শেষ করে ১৮০ দিনের মধ্যে শেষ করতে হবে সম্পূর্ণ বিচার প্রক্রিয়া। তবে মাগুরার ধর্ষনের ঘটনার পরে সে আইন সংশোধন কথা জানান আইন উপদেষ্টা।
বিচার দ্রত শেষ করতে ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত এবং ৯০ দিনের মধ্যে বিচার সম্পন্ন করার কথা জানান তিনি। তবে আইনজীবীরা জানান ৩ মাসে বিচার শেষ করা গেলেও দুই সপ্তাহে তদন্ত সম্ভব নয়।
আইন উপদেষ্টার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন যোগ্য না জানিয়ে সিনিয়র এ আইনজীবী জানান, সময় কমানোর সিদ্ধান্ত কোন সুফল বয়ে আনবে না।
আইনের পরিবর্তন না করে অপরাধ দমনে আগে সমাজের পরিবর্তন দরকার। সেইসাথে কঠোর হাতে দমন করতে হবে বিদ্যমান অস্থিরতা বলেও জানান আইনজীবীরা।
এনএ/