দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
আজ সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে দুদক প্রধান কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমিন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এফবিআই প্রতিনিধিদল দুদকের মানি লন্ডারিং অ্যান্ড লিগ্যাল শাখার মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ বৈঠক করেছেন।’
দুদক সচিব বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে এটি সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল। আমরা একে অপরের কাজের পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘টাকা যেন পাচার না হয়। দুদক ছাড়াও আরও প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সবাই এটা নিয়ে কাজ করছে। সফলভাবে এটি কাজ করলে আশা করি টাকা পাচার বন্ধ হবে। পাচারকৃত টাকা ফেরত আনার বিষয়ে আমাদের নিজস্ব প্রক্রিয়া রয়েছে।’
দুদক ও এফবিআই প্রতিনিধি দলের বৈঠকের আগেই যুক্তরাষ্ট্রের একটি সংবাদ মাধ্যমের বিশেষ প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়, কমপক্ষে ১১ জন বাংলাদেশির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ও জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট তদন্ত করছে। ঐসব বাংলাদেশি সবাই রিয়েল এস্টেট, গ্যাস স্টেশন, রেস্টুরেন্ট এমনকি ক্যাসিনো ব্যাবসায় এই অবৈধ অর্থ বিনিয়োগ করেছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে।
এসব ব্যক্তির বিরুদ্ধে দুর্নীতি, মানি লন্ডারিং ও আর্থিক দুর্নীতি সহ নানা অভিযোগ রয়েছে যুক্ত্রাষ্ট্রের। সেদেশের বিভিন্ন ফেডারেল এজেন্সি গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে এদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা যাচাই ও প্রমানাদি জড়ো করছে বলে জানা গিয়েছে।
বিশ্বস্ত সূত্রে আরও জানা যায়, প্রাথমিকভাবে এই ১১ জনের বিরুদ্ধে স্যাংশন দেওয়া হতে পারে। আগামীতে এই সংখ্যা আরও বাড়বে। তাছাড়া মার্কিন ক্যাপিটলের এক গোপন সূত্র জানায়, বাইডেন সরকার দূর্নীতি ও আর্থিক অপরাধের বিরুদ্ধে যে আপোষহীন তার দৃষ্টান্ত স্থাপনের অংশ হিসেবে ম্যাগনিটস্কি অ্যাক্ট – এর আওতায় এই ১১ বাংলাদেশীর উপর স্যাংশন দিতে যাচ্ছে। এই সংখ্যা বাড়তে থাকবে।