ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠি, হুতিদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হামলায় কমপক্ষে ৫৩ জনের প্রাণ গেছে। হামলার পর লোহিত সাগরে মার্কিন জাহাজে হামলার ঘোষণা দিয়েছে হুথিরা। অন্যদিকে ইয়েমেনে হামলা চালিয়ে যাওয়ার দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রও।
হুতি বিদ্রোহীরা ইয়েমেনের একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী। তারা ইয়েমেনের রাজধানী সানাসহ দেশটির বেশির ভাগ অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে। গোষ্ঠীটির আবির্ভাব ঘটে গত শতকের নব্বইয়ের দশকে। তবে তারা প্রথমবারের মতো দেশ-বিদেশে ব্যাপক আলোচনায় আসে ২০১৪ সালে।
২০১৫ সালের মার্চে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ইয়েমেনে হস্তক্ষেপ করে। এই অভিযানে সৌদিকে সমর্থন দেয় পশ্চিমারা।
গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে এবং ফিলিস্তিনি ও হামাসের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ২০২৩ সালের নভেম্বরে লোহিত সাগরে চলাচলকারী ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট জাহাজ নিশানা করে হামলা শুরু করে হুতিরা।
গাজায় ত্রাণ প্রবেশে ইসরায়েলের বাধা না সরানো হলে তারা লোহিত সাগর দিয়ে যাওয়া ইসরায়েলি জাহাজগুলোতে আবার হামলার ঘোষণা দেয় হুতিরা। এই হুমকির পর তাঁদের বিরুদ্ধে বড় পরিসরে সামরিক অভিযান শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের এই হামলাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবে অভিহিত করেছে হুতিদের রাজনৈতিক ব্যুরো। তারা এক বিবৃতিতে বলেছে, মার্কিন আগ্রাসনের জবাব দেওয়া হবে।
হুতি সামরিক মুখপাত্র কোনো প্রমাণ ছাড়া দাবি করেছেন, লোহিত সাগরে থাকা মার্কিন বিমানবাহীর রণতরি ইউএসএস হ্যারি এস. ট্রুম্যান এবং অন্যান্য রণতরিতে তারা ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের হামলার জবাবে এসব পাল্টা হামলা চালানো হয়েছে।
অন্যদিকে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ হুথিদের আক্রমণ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তাদের ওপর টানা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর কথা বলছেন।
এনএ/