17 C
Dhaka
শনিবার, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৫

লাল বাহাদুর শাস্ত্রী স্টেডিয়াম: বাংলাদেশ ক্রিকেটের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ

মাহমুদুল্লাহর বিদায়ী ম্যাচকে স্মরণীয় করে রাখতে চায় বাংলাদেশ

আজ ভারতের বিপক্ষে চলমান  সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ খেলে টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিচ্ছেন বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তাই এ ম্যাচে জয় দিয়ে মাহমুদুল্লাহর বিদায়কে স্মরনীয় করে রাখতে চায় বাংলাদেশ।

তবে প্রথম দুই ম্যাচ হেরে ইতোমধ্যে সিরিজ হাতছাড়া করেছে টাইগাররা। অন্যদিকে, জয়ের ধারা অব্যাহত রেখে বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশের লক্ষ্য রয়েছে ভারতের।

ভারতের সবচেয়ে সুন্দর স্টেডিয়াম গুলোর মধ‍্যে একটি হায়দরাবাদের রাজিব গান্ধি আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম। বাংলাদেশ-ভারত সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি ম‍্যাচের এই ভেন‍্যুতে হয় রীতিমতো রান উৎসব। সবশেষ আইপিএলে মুম্বাই-হায়দরাবাদে ম‍্যাচে রেকর্ড ৫২৩ রানের সাক্ষী হয়েছিলো এই মাঠ। তবে স্পিনাররাও সহায়তা পায় কিছুটা। এই ভেন‍্যুতেই ২০১৯ সালে ভারতের মাটিতে প্রথম টেস্ট খেলেছিলো বাংলাদেশ।

২০০৪ সালে বিশাকা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম নামে প্রথম আন্তর্জাতিক ম‍্যাচ হোস্ট করে এই স্টেডিয়াম। পরের বছর দেশটির সাবেক এক প্রধানমন্ত্রীর নামে নাম পাল্টে করা হয় রাজিব গান্ধি ক্রিকেট স্টেডিয়াম। এই মাঠ এখন পর্যন্ত হয়েছে তিন ফরম‍্যাট মিলে ১৮টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ। আইপিএলের দল সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদেরও হোম ভেন্যুও এটি।

এই মাঠে এখন পর্যন্ত হয়েছে মোট দুটি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি। তবে আইপিএলের প্রচুর ম‍্যাচ হয়েছে এখানে । পরিসংখ্যান বলে ফ্ল্যাট উইকেটে হয় এখানে যেখানে নিরাপদ রান ২০০’র বেশি।

হায়দরাবাদ তথা এই রাজ্য থেকে থেকে প্রচুর ক্রিকেটার এসেছে ভারতীয় দলে। আজহার উদ্দিন, ভিভিএস লাক্ষণ, আবিদ আলী থেকে শুরু করে হালের তারকা মোহাম্মদ সিরাজসহ অনেক ক্রিকাটারের জন্ম এখানে। স্টেডিয়ামে তাদের স্বরণ করে বিভিন্ন গ‍্যালারির নামকরণ করেছে হায়দ্রাবাদ ক্রিকেট অ‍্যাসোসিয়েশন।

লাল বাহাদুর শাস্ত্রী স্টেডিয়াম: বাংলাদেশ ক্রিকেটের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ

বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সাথে আজীবনের মতো জড়িয়ে আছে হায়দরাবাদ শহরের নাম। আরও স্পষ্ট করে বললে এই শহরের মাঠ লাল বাহাদুর শাস্ত্রী স্টেডিয়াম। এই মাঠেই প্রথম একদিনের আন্তর্জাতিক ম‍্যাচ জিতেছিলো বাংলাদেশ। ১৯৯৮ সালে কোকা কোলা কাপে কেনিয়াকে এখানেই হারিয়ে প্রথম ওয়ানডে জয়ের কীর্তি গড়েছিলো টাইগাররা।

১৬৮৭ সালে আট মাসের গোলকুন্ডা অবরোধের সময় মোগল সৈন্যরা একটি বিস্তীর্ণ খোলা মাঠে শিবির স্থাপন করেছিল। তাদের বিজয়ের পর এই মাঠের নামকরণ করা হয় ফতেহ ময়দান (বিজয় স্কয়ার)। বিশ্বকাপের ম্যাচসহ ১৪টি ওয়ানডে ও ৩টি টেস্টের আয়োজক এই মাঠ।

তবে নতুন শতাব্দীর প্রথম দশকে হায়দরাবাদের ক্রিকেটের প্রধান ফোকাস হয়ে ওঠে নতুন স্টেডিয়াম রাজিব গান্ধি আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম। এর আগে ২০০৫ সাল পর্যন্ত লাল বাহাদুর শাস্ত্রী স্টেডিয়ামই ছিলো এই শহরের ক্রিকেটের কেন্দ্রবিন্দু।

রাজিব গান্ধি আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম যেহেতু আছে, স্থানীয় ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন আরেকটা স্টেডিয়ামের জন্য অত টাকা খরচ করবেই কেন! আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ভেন্যু রাজিব গান্ধি স্টেডিয়ামেই আজ বাংলাদেশ দল ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচ খেলবে। এখানে নিয়মিত হয় ভারতীয় দলের বড় বড় ম্যাচের আয়োজনও। বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা লাল বাহাদুর শাস্ত্রী স্টেডিয়াম এখন শুধুই অতীত।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন