৪ আগস্ট শেরপুরে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে জেলা প্রশাসন গাড়ি উঠিয়ে দেয়। প্রাণ যায় ২ জনের। ছিটকে পড়ে কোমড় ভাঙেন সোলায়মান। সেই ভিডিও এখন মানুষের মোবাইলে মোবাইলে। তবে শরীরে নানা গুরুতর জখম নিয়ে শয্যাশায়ী সোলায়মান। স্বাভাবিক জীবনে ফেরা নিয়ে মায়ের শঙ্কা থাকলেও বাবা ছেলেকে নিয়ে গর্বিত।
টগবগে তরুণ সোলায়মান কবির। অন্যায়ের বিরুদ্ধে হয়ে ওঠেন সোচ্চার যোগ দেন ছাত্র আন্দোলনে। তাদের দমনে সরাসরি গাড়ি উঠিয়ে দেয় শেরপুরের প্রশাসন। প্রাণে বাঁচলেও কোমড় ভেঙেছে সোলায়মানের।
শেরপুর সরকারী কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রটি এখন শয্যাশায়ী। পরিপূর্ণ ভাবে কোমরের সমস্যা সমাধান হবে কিনা চিকিৎসক কোন নিশ্চয়তা দেয়নি।
ছেলের জীবনের ঝুঁকি চিন্তা করে ছেলেকে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যান মা। তবুও কাজে হয়নি। সেখানে থেকেই চলে আসে আন্দোলনে। তবে এই ছেলেই তার গর্ব বলছেন সোলায়মানের মা।
বাবা মো. সেলিম প্রমানিক সিঙ্গাপুর প্রবাসী। ছেলে মেয়ের জন্য এই রেমিট্যান্স যোদ্ধা দিন রাত কাজ করছেন। ছেলের এই মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে ফেরা তার কাছে আল্লাহর নিয়ামত। ছেলের বীরত্বে গর্বিত তার বাবাও।
তার এই নির্মম ঘটনার স্বাক্ষী তার বন্ধুরাও। চাইলেন এর বিচার।
স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন কিনা সোলামান তা নিয়ে আশঙ্কায় আছে মা। তবে দেশ গড়ার এই আন্দোলনে শরিক হতে পেরে নিজেকে খুব গর্বিত মনে করেন সোলায়মান।