২১/০৫/২০২৫, ৪:৪২ পূর্বাহ্ণ
25 C
Dhaka
২১/০৫/২০২৫, ৪:৪২ পূর্বাহ্ণ

মিয়ানমারে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ৩ হাজার ৩৫৪ জনে পৌঁছাল

মিয়ানমারে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩ হাজার ৩ হাজার ৩৫৪ জনে পৌঁছেছে। এমন পরিস্থিতিতে মিয়ানমারকে সহায়তা করতে জাতিসংঘের ত্রাণ বিষয়ক প্রধান বিশ্ববাসীকে নতুন করে আহ্বান জানিয়েছেন।

গত ২৮ মার্চ ৭ দশমিক ৭ মাত্রার মহাশক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে মিয়ানমার। এরপর আরেকটি বড় ভূমিকম্প আঘাত হানে দেশটিতে। এতে আজ শনিবার (৫ এপ্রিল) পর্যন্ত সাড়ে তিন হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যুর ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রয়াত্ত্ব সংবাদমাধ্যম। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৪ হাজার ৫০৮ জন। এখনো নিখোঁজ আছেন ২২০ জন।

থাইল্যান্ডের ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলন শেষে শুক্রবার দেশে ফেরেন মিয়ানমারের জান্তা সরকারের প্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং। তিনি ব্যাংককে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ও থাই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন।

ভূমিকম্পের পর সর্বপ্রথম চীন, রাশিয়া এবং ভারত সেখানে উদ্ধারকারী পাঠায়। পরবর্তীতে বাংলাদেশ থেকে উদ্ধারকারী দল মিয়ানমারে যায়। তারা ভবনের নিচে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার ও তাদের শনাক্ত করার কাজটি করছেন।

পৃথিবীতে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিলে উদ্ধার অভিযান ও ত্রাণ সহায়তায়য় যুক্তরাষ্ট্র সাধারণত নেতৃত্ব দিয়ে থাকে। তবে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন দাতব্য সংস্থা ইউএসএইডের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছেন।

তা সত্ত্বেও গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত মিয়ানমারকে ৯ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ওয়াশিংটন। সঙ্গে তারা জানিয়ে দিয়েছে, বিশ্বব্যাপী প্রাকৃতিক দুর্যোগ পরবর্তী উদ্ধার অভিযানে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্ব দেবে এমন চিন্তা করা অযৌক্তিক।

২০২১ সালে গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচিত নেত্রী অং সান সুচিকে রক্তপাতবিহীন এক সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। কিন্তু এরপর দেশটির সাধারণ মানুষ ও বিদ্রোহীরা সেনা সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। এতে মিয়ানমারে শুরু হয় গৃহযুদ্ধ। এই যুদ্ধের কারণে মিয়ানমারে স্বাস্থ্য থেকে শুরু করে প্রায় সব সেবাই ভেঙে পড়েছে। এরমধ্যে আঘাত হেনেছে ভূমিকম্প। যা মানুষের দুর্ভোগকে আরও কয়েক গুণ বৃদ্ধি করেছে।

পড়ুন : মিয়ানমারে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা জান্তা সরকারের

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন