মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি-আরসার প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। জুনুনীর গ্রেপ্তারের খবর গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর বিকট বিস্ফোরণের শব্দে সীমান্ত এলাকার মানুষের মধ্যে আবারও আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) রাত সোয়া ৮টায় টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ডেইল্ল্যারবিল ও আছারবনিয়া সীমান্তের ঠিক ওপারে মিয়ানমারের মংডু শহরে বিস্ফোরণের বিকট এ শব্দ শোনা গেছে।
গত রোববার (১৬ মার্চ) মধ্যরাতে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করতে গোপন বৈঠকের সময় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ ও ময়মনসিংহে পৃথক অভিযান চালিয়ে রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (এআরএসএ বা আরসা) ১০ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
সাধারণ রোহিঙ্গাদের দাবি, আরসা প্রধানকে আটক করাই ক্যাম্পে অস্থিরতা হতে পারে। তাই তারা বাড়তি নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানান।
মিয়ানমারের সশস্ত্র সংগঠন আরসা প্রধান আবু আম্মার আতাউল্লাহ জুনুনীর গ্রেপ্তারের খবর গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তিত স্থানীয় বাসিন্দারাও। ক্যাম্পের অপরাধ দমনে যৌথ অভিযান চালিয়ে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি স্থানীয় জন প্রতিনিধিরা।
টেকনাফ সাবারাং ইউনিয়ন নয়াপাড়ার বাসিন্দা সাজ্জাদ বলেন, এতদিন সীমান্তে কোনো বিস্ফোরণের বিকট এ শব্দ শোনা যায়নি। কিন্তু মিয়ানমারের সশস্ত্র সংগঠন আরসা প্রধান আবু আম্মার আতাউল্লাহ জুনুনীর গ্রেপ্তারের খবর গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর রাত ৭টা থেকে বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। এতে আমরা আতঙ্কিত। সীমান্ত ও ক্যাম্প এলাকায় যেন প্রশাসনের টহল জোরদার করা হয়।
কক্সবাজারের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প আরসার সদস্য হিসেবে পরিচয়ধারীরা একক নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। ক্যাম্পের বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্য, সালিশ-বৈঠক, মাদক কারবার ও চোরাচালানে তারা কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী রাখতে চায় না। তবে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে মাঝিরা স্থানীয় প্রশাসনকে সহযোগিতা করলে পরে মাঝিদের তার্গেট করে হত্যা করা হয়।
এ ব্যাপারে টেকনাফের ইউএনও শেখ এহসান উদ্দিন জানান, বিস্ফোরণের বিকট শব্দে এপারে বসত ঘরসহ নানা স্থাপনা কেঁপে উঠার ঘটনার পরপর বিজিবি ও কোস্টগার্ডের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। সীমান্তে টহল ও নজরদারি জোরদার করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
