গণহত্যাকারীর দালাল সাকিব আল হাসান, ফিক্সার সাকিব, নো এন্ট্রি সাকিব। এরকম আরো অসংখ্য শ্লোগানে মিরপুর স্টেডিয়ামের দেয়াল ভরে উঠেছে। বৃহস্পতিবার অজ্ঞাত একদল মানুষ এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। তাদের দাবি, মিরপুরে আসতে পারবেন না সাকিব।
সাকিবের ঠাই, এই মিরপুরে নাই এমন দেয়াল লিখন মিরপুর স্টেডিয়ামে। বলাই বাহুল্য এতে সাবেক নম্বর ওয়ান অলরাউন্ডারের দেশে আসার ঝুঁকি বেড়েছে। এলেও মিরপুরের ম্যাচে বিদায় নিতে পারবেন কিনা , তা নিয়ে হয়তো সাকিবকে নতুন করে ভাবতে হবে। কেননা, সাকিব দক্ষিন আফ্রিকার বিপক্ষে যে টেস্ট খেলে বিদায় নিতে চান সেটিও হবে এই মাসের ২১ তারিখে এই মিরপুরেই।
সাকিবের বিদায়বেলা যতই ঘনিয়ে আসছে পরিস্থিতি যেনো ততই ঘোলাটে হচ্ছে। সাকিব সেটা বুঝতে পেরেছেন। ইতিমধ্যেই জাতির উদ্দেশ্যে প্রকাশ্যে ক্ষমাও চেয়েছেন। কিন্তু দেরিটা বোধহয় একটু বেশিই হয়ে গেছে। রাজনৈতিক সাকিবকে ভক্তরা কিছুতেই ক্রিকেটার সাকিব মানতে পারছে না। তাকে দেখছেন স্বৈরাচারের দোসর হিসেবেই।

এমন পরিস্থিতিতে সাকিব আদৌ হোম অব ক্রিকেটে শেষ বিদায় নিতে পারবে কিনা তা কেউ জানে না। জানার অপেক্ষা দিনদিন বাড়ছে। পঞ্চপান্ডবের কেউই এখন পর্যন্ত মাঠ থেকে হাসি মুখে বিদায় নিতে পারেনি। তবে ক্রিকেটার সাকিবের বিদায় মাঠ থেকে সুন্দর ভাবে না হলে, দেশের ক্রিকেটে যে নেতিবাচক ইতিহাস তৈরি হবে, তা পরবর্তী প্রজন্মের ক্রিকেটারদের জন্য জন্য মোটেও ভালো উদহরণ হবে না।
পৃথিবী নামক গ্রহের এমনও জায়গা আছে যেখানে এখোনো বাংলাদেশের নাম পৌছায়নি, সেখানেও নাকি সাকিবের নাম পৌঁছে গেছে, এমন গল্প তো আমরা হরহামেশাই শুনি। সাকিবকে তালি দেওয়া যায়, দেওয়া যায় গালিও। তবে অস্বীকার করা যাবেনা কখনো। দেশের ক্রিকেটের এই পোস্টারবয় দেশকে নিয়ে গেছে বিশ্ব দরবারে। বিদায় বেলায় এসবই যেনো ঢাকা পড়ে গেছে ক্ষোভের বেড়াজালে।

জীবন হাসায়, জীবন কাঁদায়, জীবন ভাসায়, এক জীবনে সাকিবই তো এর উজ্জ্বল উদহরণ। দেশের ক্রিকেটে সেরা তারকা হয়েও পা রাখতে পারছেন না নিজের জন্মভূমিতেই। এই গ্লানি সাকিবকে বয়ে বেরাতে হবে অনেক বছর, অনেক যুগ।