দুইদিন কারাবাসের পর অবশেষে জামিনে মুক্ত হলেন ঢালিউড চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া। কাশিমপুর মহিলা কারাগার থেকে নিজের বাসায় গেছেন এ অভিনেত্রী।
জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর সংবাদমাধ্যমে কোনো কথা বলতে চাননি অভিনেত্রী। তবে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট করেছেন।
পোস্টে তিনি লিখেন, সকলকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা যারা আমার পাশে ছিলেন। শারিরীক অসুস্থতার জন্য আজ কথা বলতে পারিনি। সুস্থ হয়ে খুব দ্রুত ফিরে আসবো আপনাদের মাঝে।
বিগত দুই দিন নিজের জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময় পার করেছেন জানিয়ে ফারিয়া লিখেছেন, ‘জীবনের সবচেয়ে মুমূর্ষু সময় পার করেছি এই দুইটা দিন। মানসিকভাবে খুবই ভেঙে পড়েছিলাম। তবে এই সময়টাতে যারা সর্বক্ষণ আমার পাশে ছিলেন সেসব মানুষদেরকে মন থেকে কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। আমার সহকর্মী থেকে শুরু করে ইন্ডাস্ট্রির সবাই, এমনকি আপামর সাধারণ মানুষ যারা আমার হয়ে কথা বলেছেন, ন্যায়ের পক্ষে কথা বলেছেন, পাশে থেকেছেন তাদের এই সাপোর্ট/ভালোবাসা আমি আজীবন মনে রাখবো।’
ফারিয়া আরও লেখেন, ‘আপনারা পাশে না থাকলে হয়তো এত দ্রুত আপনাদের মাঝে উপস্থিত হতে পারতাম না। বিশেষ করে ধন্যবাদ দিতে চাই, আমাদের গণমাধ্যমকর্মীদেরকে। তাদের এই সাপোর্টটা ভীষণ দরকার ছিল। আমি সবসময় মনে রাখব আমার প্রতি আপনাদের ভালোবাসার কথা।’
কারাগার থেকে বের হওয়ার সময় ফারিয়াকে বিমর্ষ ও বিধ্বস্ত দেখাচ্ছিল। অভিমানে হাত দিয়ে নিজের মুখ ঢেকে রাখেন অভিনেত্রী।
গত ১৮ মে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে থাইল্যান্ড যাওয়ার সময় অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়াকে আটকে দেয় ইমিগ্রেশন পুলিশ। পরে ভাটারা থানার মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। এরপর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় নুসরাত ফারিয়াকে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ১৯ মে অভিনেত্রীকে আদালতে তোলা হয়। এ সময় ভাটারা থানার উপ-পরিদর্শক বিল্লাল ভূঁইয়া ফারিয়াকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। এ ভিত্তিতে অভিনেত্রীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। একইসঙ্গে তার জামিন শুনানির জন্য আগামী ২২মে ধার্য করা হয়।
তবে আজ মঙ্গলবার (২০ মে) স্পেশ্যাল পুটআপ দিয়ে বিজ্ঞ সিএমএম-১ আদালতে জামিন চেয়ে শুনানি শুরু করেন ফারিয়ার পক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ ইফতেখার হাসান। তার উত্থাপিত যুক্তিতে আদালত সন্তুষ্ট প্রকাশ করলে ৫ হাজার বন্ডে অভিনেত্রীর জামিন হয়।