বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করলে বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউসগুলোর লাইসেন্স বন্ধ করে দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, পাচার বন্ধ করা গেলে দেশে ৪৫ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত রেমিট্যান্স আনা সম্ভব। তিনি জানান, গুটিকয়েক বিদেশি মানি এক্সচেঞ্জগুলোর জোটের কাছে জিম্মি হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
অন্তবর্তী সরকারের প্রথম ছয় মাসে অন্যতম বড় সাফল্য প্রবাসী আয়। যা গেলো আগস্ট থেকেই ধারাবাহিকভাবে বাড়তে শুরু করে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে, আগের অর্থবছরের ওই ছয়মাসে মোট আয় পৌনে ১১ বিলিয়ন ডলার হলেও চলতি অর্থবছরের একই সময়ে তা উঠে যায় ১৪ বিলিয়নে। এই অর্থ মূলত সরকারি, বেসরকারি, বিশেষায়িত ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে আসে বাংলাদেশে।
তবে রেমিট্যান্স আহরণে এখনও অন্যতম মাধ্যম বিভিন্ন এক্সচেঞ্জ হাউজ। যারা উৎস দেশগুলো থেকে সংগ্রহ করে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর কাছে বিক্রি করে। তবে বিদেশি এসব এক্সচেঞ্জগুলোর জোট বা এগ্রিগেটরদের সাম্প্রতিক কার্যক্রমে ক্ষুব্ধ হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গভর্নর জানান, প্রয়োজনে বন্ধ করে দেয়া হবে সেসব প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স।
রেমিট্যান্স প্রবাহের বর্তমান প্রবণতা বিশ্লেষণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক মনে করছে, অর্থবছর শেষে তা দাঁড়াতে পারে ৩০ বিলিয়নে। আগের চেয়ে যা বেড়েছে তা মূলত পাচার বন্ধ হওয়ার কারণে। যদিও কেন্দ্রীয় ব্যাংক মনে করছে, সঠিক প্রক্রিয়া ও মাধ্যমে এলে প্রবাসী আয় ছাড়িয়ে যাবে ৪৫ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, প্রবাসী আয়ের এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বৈদেশিক মুদ্রার বাজার স্থিতিশীল করবে। এ ছাড়া পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে বিভিন্ন সংস্থা কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
এনএ/