উচ্চ মূল্যস্ফীতির লাগাম টানা এবং ব্যাংকিং ও রাজস্ব খাতে সংস্কার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। একই সঙ্গে ব্যবসার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে। অর্থনীতি ও আর্থিক খাতে সুশাসনের যে পতন ও ক্ষত তৈরি হয়েছে, তা উদ্ধারের চ্যালেঞ্জও সরকারের কাঁধে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, অল্প সময়ের রোডম্যাপে এসব উদ্যোগ নিতে হবে। অন্যথায়, সাধারণ মানুষের আস্থা হারাবে।
উচ্চ মূল্যস্ফীতি ক্ষমতাচ্যূত আওয়ামী লীগ সরকারের ব্যর্থতার একটি। সরকার টানা প্রায় তিন বছর, মানুষকে স্বস্তি দিতে পারেনি। জীবনযাত্রার ব্যয় সামাল দেয়া কঠিন হয়ে পড়লে, মানুষ সরকারের প্রতি অসন্তুষ্ট হয়ে উঠতে থাকে।
অর্থনীতির পাপ বলা হয় মূল্যস্ফীতিকে, যা মানুষকে সরকারি আক্রান্ত করে, কষ্ট দেয়। বাজারে শৃংখলা এনে, নতুন সরকারকে মনোযোগ দিতে হবে মানুষকে স্বস্তি দিতে।
কেবল উচ্চ মূল্যস্ফীতি নয়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সামনে অর্থনীতির জন্য আরও বেশ কিছু চ্যালেথঞ্জ দেখছেন বিশ্লেষকরা। ব্যাংকিং ও রাজস্ব খাতে সংস্কার সেই তালিকায় ওপরের দিকে। একই সঙ্গে মনোযোগ দিতে হবে ব্যবসার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে। স্থানীয় ও বহিখাতের দিকে মনোযোগ দিতে হবে সমান তালে।
অর্থনীতির মেরুদন্ড বলা হয় ব্যাংক খাত। সেখানে ব্যাপক পচন ধরেছে, সুশাসন নেমেছে তলানিতে। শাসন দূর্বলতায় প্রশ্নের মুখে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তদারকি ব্যবস্থা। প্রতিষ্ঠানটি, শীর্ষ পর্যায়ে এতোটা রাজনীতিকরণ হয়েছে, কর্মীদের অসন্তোষের মুখে-শীর্ষ নির্বাহীরা করছেন পদত্যাগ, যাচ্ছেন না অফিসে।
একই পরিস্থিতি এনবিআরের। চেয়ারম্যান অফিস করছেন না। তার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একটি অংশ।