26 C
Dhaka
মঙ্গলবার, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৫

মূল্যস্ফীতি কমাতে আরও ৩ মাস সময় চাইলেন অর্থ উপদেষ্টা

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বাড়তি মূল্যস্ফীতিতে মানুষের সমস্যা হচ্ছে, এটা অস্বীকারের সুযোগ নেই। তবে, সেটি কমাতে ইতোমধ্যে বেশকিছু উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সেজন্য দুই থেকে তিন মাস অপেক্ষা করতে হবে।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, সরকার আসন্ন রোজায় নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে আরও কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এসব উদ্যোগের ফলে আগামী জুন নাগাদ গড় মূল্যস্ফীতি ৬ থেকে ৭ শতাংশে নেমে আসবে।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, মূল্যস্ফীতি কারনে অনেকেই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থার সঙ্গে শ্রীলঙ্কার তুলনা করেন, এটি ঠিক নয়।

তবে, দেশের ৬০টি ব্যাংকের মধ্যে মাত্র ১২টি পুরোপুরি কার্যকর, বাকিগুলো খুঁড়িয়ে চলছে। এটিও বুঝতে হবে।তিনি বলেন, চালসহ বিভিন্ন দরকারি পণ্যের সরবরাহ এখন থেকে আর কমতে দেওয়া হবে না। চাল, ডাল, সারসহ এ ধরনের অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের আমদানি করা হচ্ছে।

ড. সালেহউদ্দিন বলেন, জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও এপ্রিলে আমরা যে উদ্যোগটা নেব সেটার প্রভাব সামনে বাজারে দেখতে পারবেন। বাংলাদেশ ব্যাংকও মুদ্রানীতি দেবে। জুন মাসের দিকে মূল্যস্ফীতিতে একটা আইডল ৬/৭ শতাংশে যেতে পারি, তাহলে আমাদের জন্য বেটার হয়।

ভ্যাট ট্যাক্স নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, কিছু কিছু বিষয়ে ভ্যাট ইস্যুর জন্য দাম বেড়েছে, যেমন বিস্কুটের দাম বেড়েছে। যাই হোক এসব বিষয় নিয়ে আমরা পরশুদিন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসব। মার্চের দিকে বাজেট পুনর্মূল্যায়ন করা হবে। সেখানে নির্দিষ্ট কিছু অ্যাকশন দেখবেন। বিশেষ করে অর্থনৈতিক খাতে। মেইন উদ্দেশ্য হচ্ছে ভ্যাটের। দিনের পর দিন ছাড় দেওয়া হয়েছে। এগুলো আর আমি উৎসাহ দেব না। এর মধ্যে হয়তো দুই একটা পণ্যে প্রভাব পড়েছে। এতে লোকজনের কিছুটা কষ্ট হচ্ছে, সেটা লাঘব করার জন্য আমি চেষ্টা করব। আয়করের বিষয় আছে সেটা দেখব, যাতে অন্য ট্যাক্স তাদের যেন কম হয়।

তিনি বলেন, আমাদের যে পরিমাণ অর্থের ব্যয় হচ্ছে এতে আমাদের কতটা যে চাপ পড়ছে সেটা বাইরে থেকে জানার কথা না। সেটা ব্যাংকার ও আমি জানি। তবে সেটা কোনো খারাপ অবস্থা না। যদি আমরা কাউন্টার ইস্যুগুলো না নেই তাহলে বাংলাদেশের অবস্থা একটা অকল্পনীয় অবস্থায় চলে যেতো। কারণ কোথাও কোনো অর্থ নেই। সব ব্যাংক থেকে অর্থ নিয়ে গেছে। পৃথিবীর কোনো দেশে এমন হয়েছে বলে আমার জানা নেই। ব্যাংকের ডিপোজিটের টাকাসহ চলে গেছে। টাকাতো নেই ব্যাংকের কাছে। সেই টাকাগুলো আমরা দিচ্ছি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে কথা বলেছি যে কীভাবে বিশেষ ফান্ড করে দেওয়া যায়।

পড়ুন:ট্রাম্পের শুল্ক আরোপ উসকে দিতে পারে বিশ্বজুড়ে মূল্যস্ফীতি

দেখুন:আয় খেয়ে ফেলছে উচ্চ মূল্যস্ফীতি, নিয়ন্ত্রণে নেই বড় পদক্ষেপ 

ইম/

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন