চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার দুর্গম চরে ভাসমান মোবাইল হাসপাতালের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা পৌছে দেয়া হচ্ছে। একটি জাহাজকে আধুনিক চিকিৎসা সম্বলিত সকল উপকরণ দিয়ে আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন করে দেয়া হচ্ছে চিকিৎসা সেবা। মোবাইল হাসপাতালটির নাম দেয়া হয়েছে বাদশাহ আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজ মোবাইল হাসপাতাল বাংলাদেশ-৫।
আজ সোমবার (২৪ মার্চ) হাইমচরের নীলকমল ইউনিয়নের মেঘনা নদীর চর অঞ্চল চেয়ারম্যান বাজার ঘাটে, চরাঞ্চলের সাধারণ মানুষদের সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যসেবা পৌছে দিচ্ছে এই হাসপাতালটি।
বর্তমানে মোবাইল হাসপাতালটিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তদারকিতে ফ্রেন্ডশীপ নামক সংস্থার মাধ্যমে কার্যক্রম চলছে। ৫ বছর পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীনে চলে যাবে। গত জানুয়ারি মাস থেকে স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম চলছে। আগামী ৯ এপ্রিল মোবাইল হাসপাতালটি আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করা হবে।
স্থানীয়রা বলেন, আমাদের এই চরে ৮০% রোগী টাকার জন্য চিকিৎসা সেবা নিতে পারে না। এখন আমরা বড় বড় ডাক্তারদের চিকিৎসা শহরে না গিয়ে এই মোবাইল হাসপাতাল থেকে নিতে পারতেছি। দুর্গম চরে আধুনিক সুযোগ সুবিধাসম্পন্ন চিকিৎসা সেবা পেয়ে আমরা খুশি।
ভাসমান মোবাইল হাসপাতালের শীপ এডমিন রেজাউল করিম বলেন, মোবাইল হাসপাতালটিতে ৩২ জন ডাক্তার নার্সদের সমন্বয়ে চিকিৎসা সেবা চলছে। আধুনিক সকল চিকিৎসা প্রদানে প্রস্তত হাসপাতালটি। চাঁদপুরের হাইমচর, লক্ষীপুরের রামগতি, ভোলার দৌলতখান ও ভোলা সদর এই চারটি অঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্যসেবার জন্য এ মোবাইল হাসপাতালের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ৫টি ভাসমান মোবাইল হাসপাতালের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম চলছে।
চাঁদপুর জেলা সিভিল সার্জন নূরে আলম বলেন, ভবিষ্যতে সরকার তার নিজস্ব জনবল দিয়ে, নিজস্ব তদারকিতে মোবাইল হাসপাতালটি পরিচালনা করার জন্যই এখানে স্থাপন করা হয়েছে। আশা করি, ভাসমান মোবাইল হাসপাতাল থেকে মানুষ তাদের সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যসেবা গ্রহন করতে পারবে।
চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেন, যতক্ষন না পর্যন্ত আমাদের এই দুর্গম অঞ্চলের মানুষ সঠিক ভাবে স্বাস্থ্য সেবা না পায় বা স্বায়ী স্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ে না উঠে তার আগ পর্যন্ত আমাদের এই ভাসমান মোবাইল হাসপাতালের কার্যক্রম চলমান থাকবে।
এনএ/