ফেসবুকে উঠতি তরুণীদের টার্গেট করে, আকর্ষণীয় বেতনে চাকরি, ট্যালেন্ট হান্টিং ও মডেলিংয়ের নামে বিজ্ঞাপন দেওয়া হতো। আগ্রহীরা যোগাযোগ করলে কৌশলে তোলা হতো নগ্ন ছবি। এরপর ব্লাকমেইলিং। এভাবে একটি চক্র হাতিয়ে নিয়েছে শতকোটি টাকা।
দীর্ঘদিন ধরে অতি কৌশলে শতশত তরুণীকে ফাঁদে ফেলে আধুনিক যৌনদাসী হিসেবে ব্যবহার করছিল তারা। ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে যেমন টাকা হাতিয়ে নেওয়া হতো, তেমনি তাদের ভিডিও টেলিগ্রাম গ্রুপে শেয়ার করা হতো। এভাবে চক্রটি গত সাত বছরে প্রায় শতকোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর চক্রটিকে শনাক্ত করে হোতাসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।
সিআইডি জানায়, চক্রটি মূলত উঠতি বয়সী তরুণীসহ যেসব তরুণীরা পারিবারিক ভাঙনের শিকার ও আর্থিক সমস্যায় রয়েছে তাদের টার্গেট করত।
এই চক্রের প্রধান মেহেদী হাসান, টঙ্গীর ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী। আর সহযোগী, শেখ জাহিদ পড়েন কল্যাণপুর ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজে।