“দুগ্ধের অপার শক্তিতে, মেতে উঠি একসাথে” — এই স্লোগানকে সামনে রেখে মেহেরপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হলো বিশ্ব দুগ্ধ দিবস। রোববার সকালে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের আয়োজনে মেহেরপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়।
র্যালিতে অংশ নেন জেলার বিভিন্ন খামারি, প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, দুগ্ধ উৎপাদন ও বিপণনের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি এবং সাধারণ জনগণ। র্যালিটি শহরে সচেতনতা তৈরির পাশাপাশি দুগ্ধজাত পণ্যের উপকারিতাও তুলে ধরে।
র্যালি শেষে জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয় এক আলোচনা সভা। সভায় সভাপতিত্ব করেন মেহেরপুর জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ডা. সুব্রত কুমার ব্যানার্জি। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা প্রশাসক সিফাত মেহেনাজ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামিনুর রহমান।
আলোচনা সভায় বক্তারা দুধের পুষ্টিগুণ, দৈনিক খাদ্যাভ্যাসে দুধের অন্তর্ভুক্তির প্রয়োজনীয়তা, নিরাপদ ও টাটকা দুধ উৎপাদনে খামারিদের ভূমিকা এবং প্রাণিসম্পদ খাতের সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেন।
উপপরিচালক ডা. সুব্রত কুমার ব্যানার্জি বলেন, “দুগ্ধ একটি পরিপূর্ণ খাদ্য, যা শিশু থেকে বৃদ্ধ—সবার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশীয় খামারিদের সুরক্ষা ও উৎসাহ প্রদানের মাধ্যমে আমরা দুধ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারি।
জেলা প্রশাসক সিফাত মেহেনাজ বলেন, দুগ্ধজাত পণ্যের স্বাস্থ্য উপকারিতা নিয়ে আরও বেশি প্রচারণা চালানো দরকার। পরিবারে পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করতে দুধের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
অনুষ্ঠানে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা খামারিরা তাদের মতামত ব্যক্ত করেন এবং বর্তমান চাহিদা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন। পরে সফল খামারিদের মাঝে সম্মাননা স্মারক বিতরণ করা হয়।
উল্লেখ্য, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উদ্যোগে প্রতি বছর ১ জুন বিশ্বব্যাপী পালন করা হয় বিশ্ব দুগ্ধ দিবস। এর মূল উদ্দেশ্য হলো দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্যের পুষ্টিমূল্য সম্পর্কে গণসচেতনতা তৈরি এবং দুগ্ধ খাতে খামারিদের ভূমিকার স্বীকৃতি প্রদান।
পড়ুন: মেহেরপুরে তিন দিনব্যাপী কৃষি মেলা অনুষ্ঠিত
দেখুন: মানুষের রিজিক নষ্ট করে, এ কেমন শত্রুতা!
এস


