মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার পৃথিমপাশা জমিদার বাড়ির ইমাম বাড়ায় যথাযোগ্য ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে ও তাজিয়া মিছিলের মধ্যদিয়ে পালিত হচ্ছে (১০ মহররম) পবিত্র আশুরা। এ উপলক্ষে দেশ বিদেশ থেকে আগত শিয়া সম্প্রদায়ের অনুসারীদের হায় হুসেন হায় হুসেন মার্সিয়া মাতমে পৃথিমপাশার জমিদার বাড়ি সরব হয়ে উঠেছে। সারা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহ কারবালার প্রান্তরে ঘটে যাওয়া ট্রাজেডি স্মরণে প্রতি বছর মহরম মাসের ১০ তারিখ রোজা ও নফল নামাজ ইবাদাত বন্দেগির মাধ্যমে এই শোকাবহ দিনটি পালন করলেও পৃথিমপাশা জমিদার বাড়ির ইমাম বাড়ায়, মহরম মাসের ১ তারিখ থেকেই শুরু হয় এর মূল আনুষ্ঠানিকতা। এতে শিয়া সম্প্রদায়ের মুসলমানরা তাদের বয়ে চলা নিজস্ব ভঙ্গিমায় বেশ ঘটা করেই তা পালন করেন। আর এ উপলক্ষে দেশ বিদেশের নানা প্রান্ত থেকে তাঁরা জমায়েত হন জমিদার বাড়ির এই ইমাম বাড়ায়।
রোববার (৬ জুলাই) পবিত্র আশুরার দিন দুপুরে ইমাম বাড়া থেকে ‘স্থানীয়দের কাছে কারবালার ময়দান’ নামে পরিচত স্থান পদ্ম দীঘির পাড়ে এসে ছোট বড় প্রায় ৪০টি তাজিয়া জমায়েত হয়। সেখানে খঞ্জর ও ছুরি দিয়ে শিয়া সম্প্রদায়ের অনুসারীরা নিজেদের শরীরের রক্ত ঝরিয়ে হায় হুসেন হায় হুসেন মার্সিয়া মাতমের মাধ্যমে কারবালার সেই শোক স্মৃতি স্মরণ করেন।
স্থানীয়রা জানান, পৃথিমপাশা জমিদার বাড়ি, তরফি সাহেব বাড়ি ও মনরাজ বাড়িতে মজলিশ, মিলাদ, মাহফিল ও দোয়ার মাধ্যমেই শুরু হয় পবিত্র আশুরার মূল আনুষ্ঠানিকতা। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে মজলিশ, মার্সিয়া মাতম, জারি, নোওয়া, সাথে চলে রোজা ও নফল ইবাদাত বন্দেগি আর ১০ মহররম তাজিয়া মিছিলের মাধ্যমেই সমাপ্ত হয় শোক পালনের এই দশ দিনের কার্যক্রম।
পৃথিমপাশা ইমাম বাড়ার মোতাওয়াল্লি ও সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট নওয়াব আলী আব্বাছ খান জানান, মহররম মাসের চাঁদ দেখার পর থেকেই শুরু হয় তাদের শোক পালনের কার্যক্রম। এটি দেখতে সকল ধর্মের লোকজনের সমাগমঘটে এ জেলায়।
পবিত্র আশুরার সকল আনুষ্ঠানিকতা পালনে, অপ্রিতিকর ঘটনা এড়াতে নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শতাধিক সদস্য মাঠে ছিলেন।
পড়ুন: আ.লীগ নিয়ে এনসিপি’র সমন্বয় কমিটি, মৌলভীবাজারে কেন্দ্রীয় সচিবকে অবাঞ্চিত ঘোষনা
এস/