মৌলভীবাজারের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে নারী-শিশুসহ ১০৩ জন ভারতীয় অনুপ্রবেশ করেছে, এতে বিজিবির হাতে আটক হয়েছেন ৭৩ জন। এ ঘটনার পর বিজিবির পক্ষ থেকে জোরদার করা হয়েছে সীমান্তের নিরাপত্তা। অভিযোগ উঠছে মৌলভীবাজারের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকার গেইট খুলে বিএসএফ ‘পুশ ইন’ করলে তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। এর মধ্যে ধলাই সীমান্ত দিয়ে নারী-শিশুসহ ১৫ জন, পাল্লাতল ও লাতু সীমান্ত দিয়ে ৫৮ জন, কুলাউড়ার মুরইছড়া সীমান্ত দিয়ে ৩০ জন অনুপ্রবেশের খবর পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যে অনেকেই ছড়িয়ে পড়েছেন বিভিন্ন এলাকায়। এখনও তাদের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
এর আগে বুধবার ভারত থেকে বাংলাদেশে পুশইনের সময় মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের ধলাই সীমান্তে বিজিবির হাতে আটক হোন নারী-পুরুষসহ ১৫ জন। এর মধ্যে নয়জন পুরুষ, তিনজন মহিলা ও তিনজন শিশু রয়েছে। এদের বাড়ি বাংলাদেশের নড়াইল, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায়।
আটককৃতরা জানিয়েছে তারা দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে ভারতের আসামে বসবাস করে আসছিল। হঠাৎ করে ভারতীয় পুলিশ তাদের ঘরবাড়ি ভেঙে দিয়ে হেলিকপ্টারে করে ত্রিপুরার মানিক ভান্ডারে নিয়ে এসে বিএসএফের হাতে তুলে দেয়। বিএসএফ এদের কয়েকজনকে ধলাই সীমান্ত দিয়ে গেট খুলে ‘পুশ ইন’ করলে তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। তাঁরা জানিয়েছেন সে সময় তারা প্রায় তিন শতাধিক লোক ছিলেন, অন্যদের কোন সীমান্তে নিয়ে গেছে তা তারা জানেননা।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিজিবি ৪৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল মো: জাকারিয়া মোঠোফোনে বলেন, বুধবার ভোরবেলা সীমান্ত এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। এরা সবাই বাংলা ভাষায় কথা বলছে। যাচাই-বাছাই করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এ ঘটনার পর থেকেই অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে মৌলভীবাজারের সবকটি সীমান্তে টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে, বসানো হয়েছে তল্লাশি চৌকি।
এ বিষয়ে কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন মোঠোফোনে জানান, শুনেছি বিজিবি অনুপ্রবেশের দায়ে অনেককে আটক করেছে, তবে এখন পর্যন্ত কাউকে থানায় হস্তান্তর করা হয়নি।
পড়ুন: মৌলভীবাজারে মহান মে দিবসে বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভা
দেখুন: মৌলভীবাজারে গহীন অরণ্যে ২টি জ ঙ্গি আস্তানার সন্ধান
ইম