যশোরে আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোর চক্রের সদস্য টনি কে গ্রেফতার করেছে জেলা ডিবি পুলিশ। এসময় তার কাছ থেকে ৩টি দামী মোটরসাইকেল উদ্ধার করে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত হামিম সরদার টনি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার সরদারবাড়ি এলাকার শাহ আলম সরদারের ছেলে।
জেলা ডিবির এসআই কামরুজ্জামান জানান, যশোরে বেশ কিছু মোটরসাইকেল চুরির মামলায় জেলা ডিবি তদন্ত কালে গত ৯ই জুলাই শহরের পালবাড়ি এলাকা থেকে চিহ্নিত মোটরসাইকেল চোর চক্রের মুল হোতা শহিদুল ইসলাম শহীদ কে গ্রেফতার করে তদন্ত কালে শহিদের স্বীকারোক্তিতে গোপালগঞ্জ ও নড়াইলের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৬জন মোটরসাইকেল চোর চক্রের সদস্য কে গ্রেফতার করা হয় ওইসময় তাদের কাছ থেকে চোরাই ৪টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। এবং চারজন চোর দোষ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
বিরুদ্ধে চলমান অভিযানে আবারও বড় সাফল্য পেয়েছে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) যশোর। চক্রের এক সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার এবং তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মোট ৩টি চোরাই চারটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করে ডিবির আভিযানিক দল।
জেলা ডিবির এসআই কামরুজ্জামান আরো জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীদের জবানবন্দি এবং আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোঃ কামরুজ্জামান ও এএসআই রঞ্জন কুমার বসুর নেতৃত্বে জেলা ডিবি’র আভিযানিক দল গত ২৭ ও ২৮ সেপ্টেম্বর পুনরায় নড়াইল ও গোপালগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ফের অভিযান চালায় এসময় আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোর চক্রের আরেক সদস্য হামিম সরদার টনি কে গ্রেফতার করে এসময় গ্রেফতারকৃত টনির স্বীকারোক্তিতে তার হেফাজত থেকে ৩টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
জেলা ডিবির ওসি মন্জুরুল হক ভূইয়া জানান, মোটরসাইকেল চোর চক্রের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানে এখন পর্যন্ত ১১জন আন্তঃজেলা চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য গ্রেফতার এবং ১৪টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আরো জানান চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
পড়ুন : যশোরে মোবাইল ব্যবহার নিষেধ করায় অভিমানে ১০ম শ্রেনীর ছাত্রীর আত্মহত্যা

