বাংলাদেশের সন্তান ড. সাইফুল হক, পিএইচডি, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। স্বেচ্ছাসেবার সর্বোচ্চ সম্মাননা হিসেবে এই অ্যাওয়ার্ড মার্কিন প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে দেয়া হয়। এই সম্মান অর্জনকারী প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ড. সাইফুল হকের এই কৃতিত্ব বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশি কমিউনিটির জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত।
ড. হক পিটসবার্গ ইউনিভার্সিটির মেডিসিন অনুষদের রেডিয়েশন অনকোলজির অধ্যাপক এবং ইউপিএমসি হিলম্যান ক্যান্সার সেন্টারের মেডিকেল ফিজিক্স বিভাগের পরিচালক। তিনি গ্লোবাল হেলথ ক্যাটালিস্টের পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন এবং বিশ্বব্যাপী ক্যান্সার চিকিৎসা উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। প্রেসিডেন্ট বাইডেনের ক্যান্সার মুনশট ২.০ উদ্যোগকে বৈশ্বিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া তাঁর অন্যতম সাফল্য।
তাঁর নেতৃত্বে পাঁচটি মহাদেশে ক্যান্সার সেন্টার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যা ক্যান্সার চিকিৎসা উন্নত করতে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। ক্যান্সার গবেষণায় বহু দেশের অংশগ্রহণে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালু করা এবং ল্যানসেট অনকোলজিতে প্রভাবশালী গবেষণা প্রকাশ করে ক্যান্সার নীতিমালায় পরিবর্তন আনা তাঁর কাজের অন্যতম দিক।
এছাড়াও, তিনি আফ্রিকা অঞ্চলে ক্যান্সার চিকিৎসার প্রবেশাধিকার বাড়ানোর জন্য ৩০০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি সহযোগিতা সংগঠিত করেছেন। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশেও ক্যান্সার চিকিৎসায় যুগান্তকারী পরিবর্তন এসেছে। ঢাকায় সিএমএইচ ক্যান্সার হাসপাতাল এবং জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠায় তাঁর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। সার্ভিকাল ক্যান্সার নির্মূলের লক্ষ্যে চলমান প্রকল্পগুলোতেও তাঁর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে।
বর্তমানে, ড. হক একটি উদ্ভাবনী ক্লাউড-ভিত্তিক ক্যান্সার সেন্টার গড়ে তোলার কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, যা বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী রোগীদের ব্যক্তিগতকৃত চিকিৎসা প্রদান করবে। তাঁর এই উদ্যোগ ক্যান্সার চিকিৎসায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনায় কাজ করছে।
বিশ্বব্যাপী ক্যান্সার নির্মূলে তাঁর অবদান এবং নেতৃত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ, ড. সাইফুল হককে প্রেসিডেন্টের লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে। এই পুরস্কারের আনুষ্ঠানিক প্রদানের অনুষ্ঠানটি হবে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি এবং এমআইটিতে অনুষ্ঠিত গ্লোবাল হেলথ ক্যাটালিস্ট সামিটে ২০২৫ সালের ৫-৮ জুন।