যুক্তরাষ্ট্রে কফির দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কফি চুরির ঘটনাও বেড়েছে। চোরচক্রগুলো ভুয়া পরিবহন কোম্পানির ছদ্মবেশে ট্রাক বোঝাই কফি লুট করছে। সম্প্রতি হিউস্টনে মার্কিন জাতীয় কফি অ্যাসোসিয়েশনের সম্মেলনে এ নিয়ে আলোচনা হয়।
সোমবার (১০ মার্চ) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।

যুক্তরাষ্ট্রে কফি চুরি বৃদ্ধি, সক্রিয় চোরচক্র
প্রতিবেদনে বলা হয়, পরিবহন সংস্থাগুলোর মতে, চোরচক্রগুলো আমদানিকারকদের লোভনীয় প্রস্তাব দিয়ে ট্রাক বোঝাই কফি সংগ্রহ করে, এরপর অদৃশ্য হয়ে যায়। প্রতিটি ট্রাকে প্রায় ৪৪,০০০ পাউন্ড সবুজ কফি বিন থাকে, যার মূল্য প্রায় ১,৮০,০০০ ডলার।

নিউ হ্যাম্পশায়ারের পেমব্রোকের একটি মালবাহী ব্রোকার হার্টলি ট্রান্সপোর্টেশনের লজিস্টিক বিক্রয় সমন্বয়কারী টড কস্টলি বলেন, আগের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রে কফি চুরির ঘটনা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কস্টলি আরও বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সংগঠিত চক্র দ্বারা চুরিগুলি সংঘটিত হচ্ছে যারা পরিবহন কোম্পানির ছদ্মবেশে থাকে। ওই ভুয়া কোম্পানিগুলো ভালো দামের প্রস্তাব দিয়ে বাজারে এসে আমদানিকারকদের কাছ থেকে ছোট চুক্তি পেতে চেষ্টা করছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, ব্রাজিল ও ভিয়েতনামের মতো উৎপাদনকারী দেশেও কফি চুরির এমন ঘটনা বাড়ছে। জানুয়ারিতে ব্রাজিলের মিনাস গেরাইস রাজ্যে ৫০০ ব্যাগ কফি সশস্ত্র ডাকাতরা লুট করে, যার মূল্য ২৩০,০০০ ডলার।
কফি চুরি রোধে কিছু আমদানিকারক কফির ব্যাগে জিপিএস ট্র্যাকার লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছেন।

বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে সতর্ক করে বলেছেন, কফি চুরির হার বাড়তে থাকলে বাজারে সরবরাহ সংকট তৈরি হতে পারে এবং দাম আরও বাড়তে পারে।
উল্লেখ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের বৃহত্তম কফি পানীয়ের ভোক্তা। যেহেতু কফি শুধুমাত্র উষ্ণ ভৌগোলিক অঞ্চলে উৎপাদিত হয়, তাই এটি যা ব্যবহার করে তার প্রায় শতকরা ১০০ ভাগ বেশিরভাগই ট্রাকের মাধ্যমে আমদানি করতে হয়।
দেখুন: ফেলে দেয়া কলার খোসায় কোটি টাকার বাণিজ্য!
আরও: মন্ত্রী সভায় উত্তপ্ত বৈঠক, প্রকাশ্যে এলো ট্রাম্প মাস্ক দন্দ্ব!