পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। তার মতে, ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে চাইলে যুক্তরাষ্ট্র ঠেকাতে পারতো না। এদিকে বেইজিংয়ে পারমাণবিক ইস্যুতে আলোচনায় বসছে চীন, রাশিয়া ও ইরান।
ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর প্রথম মেয়াদে ২০১৫ সালে সই হওয়া ইরানের পারমাণবিক চুক্তি থেকে তাঁর দেশকে বের করে নিয়ে আসেন। এবার তিনি পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করতে তেহরানকে চিঠি দিয়েছেন।
ওই চিঠিতে এমন একটি চুক্তির বিষয়ে আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যা ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র গ্রহণ করা থেকে বিরত রাখবে এবং দেশটি সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপের সম্মুখীন হওয়া এড়াতে সক্ষম হবে।
তবে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি আলোচনার প্রস্তাব উড়িয়ে দিয়েছেন। তার মতে যুক্তরাষ্ট্র চুক্তিকে সম্মান করে না। তাই আলোচনায় লাভ নেই। বরং এমন বৈঠক ভ্রান্ত জনমত তৈরি করবে।
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোয় হামলা চালালে এর প্রতিশোধ নেওয়া হবে বলেও সতর্ক করে দিয়েছেন আয়াতুল্লাহ খামেনি। তিনি বলেন, ইরানপ রমাণু অস্ত্র তৈরি করতে চাইলে যুক্তরাষ্ট্র ঠেকাতে পারতো না।
এদিকে ইরানের সঙ্গে মার্কিন প্রশাসনের আলাপ-আলোচনায় যোগসূত্র হিসেবে কাজ করতে রাজি হয়েছে রাশিয়া। পারমাণবিক সমস্যা নিয়ে ইরান ও রাশিয়ার সঙ্গে শুক্রবার বৈঠকে বসছে চীন। বেইজিংয়ে এ বৈঠকে চীনের সমর্থণ পাবে ইরান। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর ইরান-রাশিয়ার সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে।
অন্যদিকে একই দিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠক হবে। ওই বৈঠকে ইরানের ইউরেনিয়াম মজুত সম্প্রসারণের বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে।
এনএ/