বিশ্বের বৃহত্তম দাতা দেশ যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তারা আর কোনো দেশকেই সহায়তা দেবে না। খুব স্পষ্ট না হলেও সাহায্য না পাওয়ার তালিকায় থাকতে পারে ইউক্রেন ও তাইওয়ান। তবে জরুরি খাদ্যসহায়তা এবং ইসরায়েল ও মিসরের জন্য সামরিক অর্থায়নকে এই সিদ্ধান্তের বাইরে রাখা হয়েছে।
নব্বই দিনের জন্য বিদেশে সহায়তা স্থগিত রাখতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার নির্বাহী আদেশ জারি করেছিলেন। এর পরপরই বিশ্বজুড়ে এ ধরনের প্রায় সব সহায়তা স্থগিত করেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের সব কূটনৈতিক পোস্টে একটি তারবার্তা পাঠিয়ে বিদেশে প্রায় সব সহায়তা স্থগিত করে দেন। ফলে বৈশ্বিক কর্মসূচির জন্য কোটি কোটি ডলারের তহবিল হুমকির মুখে পড়ে গেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আদেশে জরুরি খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি ইসরায়েল ও মিশরের জন্য বিদেশি সামরিক অর্থায়নের প্রশ্নে ছাড় দেওয়া হয়েছে। বিদেশি সামরিক অর্থায়ন পাওয়া ইউক্রেইন বা তাইওয়ানের মতো কোনো দেশের কথা সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি।
মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, বিশ্বজুড়ে মানবিক সহায়তার যে চাহিদা রয়েছে, সেই পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করতে পারে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবিক সহায়তা দাতা যুক্তরাষ্ট্রের কর্মসূচি স্থগিত হওয়ার কারণে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর মেমোতে বলা হয় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির অধীনে বিদেশি সহায়তায় কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে।
বিদেশে মার্কিন সহায়তার পরিমাণ দেশটির সার্বিক বাজেটের তুলনায় খুবই কম। কংগ্রেসে রিপাবলিকান এবং ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ক্রোধের কারণেই বন্ধ হলো এই সহায়তা।
এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ছাড়ার ঘোষণা দেওয়ার পর সংস্থাটি খরচ কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য কর্মসূচিগুলোর মধ্যে অগ্রাধিকার ঠিক করে কাজ চালিয়ে যাবে। ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ছাড়বে যুক্তরাষ্ট্র।
এনএ/